.. আজ ২৫শে মার্চ শনিবার ,দুপুর তিনটায়। কলকাতা প্রেসক্লাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সরকারের এই দুর্নীতি পরায়ণ আইনের বিরুদ্ধে, ও বেশ কয়েকটি দাবির বিরুদ্ধে, তারা কোন কিছু আদালতে রায় মানতে রাজি নয়, দীর্ঘদিন ধরে গাছ কাটা নিয়ে লড়াই করে আসছে তারা, উদাহরণ স্বরূপ বললেন ,একটি গাছ কাটা মানে শতেরোটা মানুষের অক্সিজেন নষ্ট করে দেওয়া, সরকার রাস্তা তৈরীর নামে দীর্ঘ বছরের গাছগুলিকে কেটে ফেলা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং অর্ডার দিয়েছেন আমরা তা হতে দেব না।, রাস্তার দু’ধারে গাছ কেটে ফেলার ফলে জীবজন্তুর বিলুপ্ত ঘটছে, সরকার দীর্ঘদিনের গাছগুলিকে কেটে রাস্তা চওড়া নামে অক্সিজেনের ক্ষতি করছে, মানুষ ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছে না, শুধু তাই নয় ২৫ থেকে ৩০ ফুট চওড়া রাস্তা কে বাড়িয়ে ১২০ ফুট চওড়া ব্রিজ বানানোর প্রকল্প ঘোষণা করেন ,ফলে বহু মূল্যবান গাছ কাটতে আদালত আইন করেন ,আমরা তা কখনোই মেনে নেব না। এই ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচাতে আমরা সকল গ্রামবাসীদের একত্রিত করে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাবো।, এই পাঁচটি ওভার ব্রিজ তৈরি করতে গিয়ে প্রায় তিনশো ৫৬ টি গাছ কেটে ফেলতে হবে, এইভাবে যদি গাছগুলিকে কেটে ফেলা হয়, মানুষের শরী্রে অক্সিজেন অনেক কমে যাবে ,মানুষ অক্সিজেন পাবে না, উন্নয়নের স্বার্থে ও উন্নয়নের নাম করে গাছ কাটা ধ্বংসলীলায় মেতেছেন পুলিশ থেকে মাফিয়ারা ,এমনকি সরকার পক্ষ,। কিন্তু একবারো ভেবে দেখেননি গাছ কেটে ফেলার ফলে কি ঘটবে, আমরা তা হতে দেবো না ,আমরা যেভাবে লড়াই চালিয়ে আসছি, আবারো আমরা লড়াই করে আটকাবো, সমস্ত এলাকাবাসীকে নিয়ে, আশা করব এলাকাবাসীরা আমাদের সহযোগিতা করবেন, আমরা এর বিরুদ্ধে ডি এম, পি ডব্লিউ ডি এর কাছে ও চিঠি দিয়েছি বারবার, কিন্তু আমাদের কথা কর্ণপাত করেননি,। শুধু তাই নয় পুলিশ প্রশাসনের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানিয়েছেন এই গাছগুলি থাকার ফলে যান চলাচলের অনেকটা বাধার সৃষ্টি হয় ,এমনকি ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডাল ভেঙে মানুষের ক্ষতি হয় এবং বিভিন্নভাবে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।,। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সরকারি আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দেয় যশোর রোডের এই পাঁচটি রেলগেটে এই কয়েক বছরে ৬০০টি দুর্ঘটনা হয়েছে, এবং অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, পক্ষান্তরে গাছ বাঁচাও কমিটি বলেন, যে এটাই প্রমাণ করতে চায়, যে এতগুলি মৃত্যুর জন্য গাছগুলি ও আন্দোলনকারীরা দায়ী, ।। এইভাবে যশোর রোডে গাছগুলি কেটে ফেলার স্বপক্ষে নানা যুক্তি দেখানো হয়েছে, আমরা তা মেনে নেব না। আমরা প্রমাণ চাই এবং আমাদের দাবি গুলি পূরণ করতে হবে।..। এই সকল উন্নয়নের নামে ব্যাপক হারে গাছ কাটা নদী পাহাড় ধ্বংস এর মূল কারণ তাপমাত্রার সাথে কমছে বৃষ্টিপাত.।। আমাদের দাবি. প্রশাসনের গাফিলতিতে গাছের ডাল পড়ে দুর্ঘটনায় যতজন মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,,…., যানজটের কারণে যে ৬০০টি মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি আইনজীবী কোর্টে উল্লেখ করেছেন ,সেই প্রতিটি মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট সর্বোচ্চ আদালতে অতি দ্রুত রাজ্য সরকারকে জমা দিতে হবে., অতি দ্রুত যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ব্যবহার, সিগনাল ব্যবস্থার উন্নতি সাধন ও যথেষ্ট সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করে পথদুর্ঘটনার হার কমাতে হবে বনগাঁ শিয়ালদা রুটের সমস্ত ট্রেনকে ১২ বগি করতে হবে যশোর রোডের গাছগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং পরিবেশগত গুরুত্বকে মাথায় রেখে যশোর রোডে সমস্ত গাছসহ রাস্তা কে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ দাস, সবিতা রায় চৌধুরী, সৌভিক মুখার্জি, পাভেল ও বর্ণা এবং অন্যান্যরা.। .