নগর সংবাদ।।যোগদানের পর থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি দেখেছি, এই বস্তি থেকে মাদক নির্মূল করা-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম
চাঁদমারী বস্তিটি অনেক পুরাতন একটি বস্তি। এই বস্তিকে ঘিরে অনেক ধরনের কথা আমরা শুনেছি এবং এখানে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিবার এই বস্তি উচ্ছেদ করতে আসলে এইখানে কোনো না কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
আমি যোগদানের পর থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি দেখেছি, এই বস্তি থেকে মাদক নির্মূল করা অথবা বস্তিটি অপসারণ করা। তাই এটি উচ্ছেদে আমরা জেলা পুলিশ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করি। যার ফলশ্রুতিতে গত ৩ দিন এখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। যাতে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কাজ করেছে। প্রায় শতাধিক পুলিশ কাজ করার পর আজকে বস্তিটি শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম (বার) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান প্রমুখ।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম আরো বলেন, অনেক সময় বস্তি বা স্থাপনা অপসারণের পর সেটি আবার পুনর্দখল হয়ে যায়। এটি যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য এখানে বেষ্টনী নির্মাণের জন্য আমরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেছি এবং তারা আজকে থেকে বেষ্টনী নির্মাণের কাজ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আশা করি সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাদের একাজ শেষ হবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি ঘরে মাদক সেবন ও বিক্রি হতো। আমরা প্রথম দুই দিনে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি উচ্ছেদ চলাকালীন সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং সে অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ করেছি।
জানাগেছে, এই ২শ শতাংশ জমির দাম প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এই জমিটি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন দখলে রেখে এখানে মাদক বিক্রেতাদের ভাড়া দিতে তাদেরকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাতেন। এখন এটি উচ্ছেদ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন নগরবাসী।