ঢাকা প্রতিনিধি।।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকেল ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলটি তাদের কার্যাবলী ও লক্ষ্য তুলে ধরে।
নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে দলটি জানায়, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের নির্দলীয় একটি রাজনৈতিক সংগঠন হচ্ছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন। নির্বাচন বা ক্ষমতার জন্য নয় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, রাষ্ট্র বিনির্মাণে ও দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন।
যারা সবসময় দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকবে। বদ্ধ পরিকর থাকবে দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়।
দলটির প্রাথমিক পর্যায়ে উপদেষ্টা রয়েছে ৭ জন। তারা হলেন, কর্নেল মশিউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, হেলাল উদ্দিন, ফজলুল সাত্তার, ড মেজর সিদ্দিক, লেফট্যানান্ট কর্নেল তোফায়েল, এআইজি মালেক খসরু। সংগঠক রয়েছেন ১০ জন ও সহ-সংগঠক ৮৩ জন।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি সাকিব আলী, সংগঠক মাহমুদউল্লাহ মধু, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ছয়টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- সংবিধান পুনঃলিখনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণ প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা।
বৈদেশিক শক্তির যেকোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রাপ্তবয়স্কদের (যাদের বয়স নূন্যতম ১৮-৪০) পর্যায়ক্রমে নূন্যতম তিন মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কোনো একক দেশ বা শক্তির প্রতি আনুকূল্যের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে হবে। যেহেতু দেশ ও সার্বভৌমত্বের মূল মালিক জনগণ তাই সব বৈদেশিক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিরক্ষা ও সংবেদনশীল চুক্তি সমূহের গোপনীয়তা রাখা যাবে। শেখ হাসিনার শাসন আমলে সম্পাদিত দেশ জনতার সার্বভৌমত্ব বিরোধী সব বৈদেশিক চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং ওই সময়কালে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি সকল বৈদেশিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এছাড়া তথাকথিত বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক উপাদানকে অন্য কোনো দেশের অধিনস্ত না করা, যাতে বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের ওয়্যার থিয়েটার (যুদ্ধের মাঠ) পরিণত না হয়। অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উদ্যোগ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়।