নগর সংবাদ।।লক্ষ্মীপুরে দুইটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মোবাশ্বেরা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিচ্ছিন্ন হাতসহ ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন- মোবাশ্বেরার মা সকিনা (৬০), বাবা জয়নাল (৭০), বোন রুনা (৩০), মেয়ে মৌসুমি (১৮) ও শিশুপুত্র শামীম (৮)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সকিনাকে অনত্র পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার শিকার সবাই জেলা সদর হাসপাতালে একজন রোগী দেখে বাড়ি ফেরার পথে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের তোরাবগঞ্জ-মৌলভীরহাট সড়কের স্লুইচগেট এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের বাড়ি জেলার কমলনগর উপজেলার চরপাগলা গ্রামে। মোবাশ্বেরা ওই এলাকার আব্দুল জাহেরের স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসধীন আহত মৌসুমি জানান, রাকিব নামে তার এক মামাতো ভাইয়ের অটোরিকশায় করে তারা ছয়জন জেলা সদর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির অপরএকটি অটোরিকশার সঙ্গে তাদের অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের বহনকৃত গাড়িটি উল্টে গেলে তারা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা এসে তাদের গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে। এসময় তার মা মোবাশ্বেরার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নুর ইসলাম নামে আহতদের এক আত্মীয় বলেন, সদর হাসপাতালে জান্নাত নামে একজন প্রসূতি ভর্তি আছেন। ওই রোগীকে দেখার জন্য তারা সদর হাসপাতালে যান। রোগী দেখে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে মোবাশ্বেরার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সখিনা হাত এবং কোমরে গুরুতর ব্যথা পান, রুনা এবং শিশু শামীমের মাথা ফেটে যায়, মৌসুমীর দুই পায়ে জখমসহ সবাই আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুইজনকে অনত্র পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশা চালক রাকিব সামান্য আহত হয়েছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, হাসপাতালে ছয়জনকে আহতাবস্থায় আনা হয়। এদের মধ্যে একজনের হাত বিচ্ছিন্ন। হাতটি বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।