সোমবার ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:১৫
শিরোনামঃ
Logo পলাতক থাকার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরবতায় অস্ত্রবাজ শাহজাহান ও তার বাহিনী প্রকাশ্যে মহড়া দেয়ায় জনমনে আতংক Logo জাতীয় মসজিদের খতিব রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ-ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি Logo নতুনভাবে একক কণ্ঠে গেয়ে গানটি উপহার দিলাম কণ্ঠ শিল্পী মনির খান Logo প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জাতিসংঘের সহায়তা চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমান,আজমিরী ওসমান,অয়ন ওসমান সহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা Logo শহরের নিতাইগঞ্জের আলোচিত মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড  Logo কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এক অসহায় পরিবারের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনজিওর বিরুদ্ধে Logo চাঁদপুরে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু,আটক ১ Logo মানুষের সংস্কার করতে না পারলে কোনো ফল হবে না-উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন Logo অবৈধভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় ৬ জন বাইক চালককে জরিমানা 

লাগামহীন পাগলা ঘোড়়ার মত ছুটছে নিত্যপণ্যের দাম সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ১১, ২০২২, ২:২৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫৩ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

লাগামহীন পাগলা ঘোড়়ার মত ছুটছে নিত্যপণ্যের দাম সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। তবে মুরগীর মাংসের দাম স্থিতিশীল। চলতি সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে ডিম ছাড়াও প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম গত সপ্তাহে ৯০০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে।

দাম বেশি হওয়া প্রসঙ্গে মাংস বিক্রেতা রিয়াজ বলেন, ১০ কেজির একটি খাসির দাম ১১-১৩ হাজার টাকায়। ইতিপূর্বে এই খাসির দাম ছিলো ৮-৯ হাজার, তাই সব মিলিয়ে দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন পথ নেই বলে জানালেন। তিনি আরও জানালেন, তবে ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে দাম বেশী হওয়াতে।

দিগুবাবু বাজারে মাংস কিনতে আসা তরুন ও  জসিম জানালেন, গত দুই সপ্তাহ আগেও খাসির মাংস কিনেছেন ৯০০ টাকায় আজ একহাজার টাকা, যতোই দিন যাচ্ছে দাম বাড়ছেই! বিকল্প হিসাবে গরুর মাংস কিনে নিলেন ৭০০ টাকা করে ২ কেজি।

গত সপ্তাহের মতোই আজ বাজারে এক কেজি ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। এছাড়া, দাম কমেছে দেশি ও পাকিস্তানি লাল মুরগির। গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পাকিস্তানি লাল মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশি মুরগির দাম ৪০০-৪৫০ টাকা। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০০-৫২০ টাকায়।

মুরগি বিক্রেতা জান্টু বলেন, বাজারের দেশি মুরগির তুলনায় ফার্মের মুরগি বেশি বিক্রি হয়। দাম আগের সপ্তাহের মতোই আছে। তবে আগের তুলনায় অন্যান্য মুরগির বিক্রি কমেছে।

শীতে মুরগীর ফার্মে বিভিন্ন রোগ জীবানু আক্রমণ করে। তাই আগামী সপ্তাহেই ফার্মের মুরগীর দাম কমতে পারে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়েছে কিছুটা। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ১৩০ টাকা ডজন। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এছাড়াও বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। করলা ৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি ।

এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।  কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায়  বিক্রি হচ্ছে । চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদার কেজি ১২০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন বাজারে সবজির সরবরাহ কম। সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে যাবে। অপরদিকে কোন কারণ ছাড়াই চাল, চিনি, ময়দা মসুর ডাল তেলসহ অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

গত তিন দিনে মিল পর্যায়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। যার কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুরীর ডালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। পেঁয়াজের দামও ৫ টকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও পাড়া মহল্লায় ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে আড়াই কেজি ১০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেশি। অনেক ক্রেতা দাম শুনে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেনাবেচাও কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।

কালিরবাজার কাচাঁবাজারের ক্রেতা গার্মেন্ট কর্মী রুবী আক্তার বলেন, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। আমাদের মতো মধ্যবিত্তসহ নিম্নবিত্তদের আবস্থা এখন সূচনীয় হয়ে পড়েছে। সংসার-সন্তানের লেখাপড়ার খরচ কমাতে কমাতে তলানীতে, আর কমাতে পারছি না।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সরকার বিদুৎ ও গ্যাসের ও দাম বাড়াবে শুনছি। ব্যবসায়িরা এই সুযোগে একের পর এক দাম বাড়াবে পন্যের। বাড়ির মালিক বাড়াবে বাসাভাড়া, কিভাবে বাচঁবো? বাজারের যে অবস্থা এখন হয়তো একবেলা না খেয়ে থাকতে হবে।

পাগলা ঘোড়া ছুটছে লাগাম ধরবে কে?

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell