লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে, মহিষাদলে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা।
“”শম্পা দাস,সম্পাদক,নগর টিভি,দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো””
আজ ২৫ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার, তমলুক লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে, পূর্ব মেদিনীপুরের,মহিষাদলের রাজমাঠে এক বিশাল জনসভা আয়োজিত হয় ,মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,উপস্থিত তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, রাজীব ব্যানার্জি ,অসিত ব্যানার্জি, চিত্ত মাইতি, বিপ্লব রায়চৌধুরী, জ্যোতির্ময় কর ,অখিল গিরি সহ অন্যান্যরা, তমলুক লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি কথাই বললেন, আজ আমার কিছু বলার নেই, আজ সমস্ত কিছু বলবেন আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঞ্চে উঠেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এলাকার সকল মানুষকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এই প্রচন্ড গরমে উপস্থিত থাকার জন্য, তিনি ইলেকশন কমিশনকে বলেন আমি অনুরোধ করব আপনি একবার আধ ঘণ্টার জন্য যেকোনো জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন, খুন এই গরমে মানুষের কি হাল হয়, তো করে আপনি এলাকা বেছে নিন বীরভূম, বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর যে কোন জায়গায়, বাংলার মানুষেরা কিভাবে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে।
আপনিতো সাতটা পর্বে ভোট ঘোষণা করেছেন, বিজেপি কে সন্তুষ্ট করার জন্য, নিজেদের মতো করে সাজিয়েছেন টাইমটা পাওয়ার জন্য এবং নিজেদের শরীর বাঁচানোর জন্য। একটা কথা জানবেন তমলুক জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তীর্থস্থান যেখানে বিদ্যাসাগর ক্ষুদিরাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিপ্লবীরা রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন, শুধু তাই নয় একদিন এই কোলাঘাটেই আমার উপর পেট্রোল বোমা পাড়ার চক্রান্তের চেষ্টা হয়েছিল এমনকি আমাকে কোলাঘাট গেস্ট হাউসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না, বাংলা কিসের জন্য অন্যকে ভোট দেবে, যিনি বাংলার মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকে দিয়েছেন,
আর বলে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল চুরি করেছে, এর কাছ থেকে চুরি করা শিখেছে, তৃণমূল চুরি করেনি, যতই সিবিআই করুক ,তৃণমূল কারো সামনে মাথা নত করবে না। আর বাংলার মানুষকে এনআরসি করিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন, বাংলায় কোনদিন সেটা হবে না। বাংলার মানুষ বাইরে চলে যাবে ,আর আপনি এখানে রাজত্ব করবেন, সেটা কোনদিনও হবে না, যতদিন আমি বাংলার মানুষের পাশে আছি, বাংলার মানুষ দেখেছে আগে দীঘা কি ছিল এখন কি হয়েছে? দীঘা সৈকত কে তৈরি করেছে, মন্দারমনি কে তৈরি করেছে। এবার বাংলার মানুষ দেখবে দীঘায় সবচেয়ে বড় উড়িষ্যার মন্দির ও পুণ্যধাম, বেড়াতে এসে এই পুণ্য দামে পূর্ণ করে যাবেন। ভাবি একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, আর বাংলার মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন ভোট দেবেন কাকে সেটা আপনাদের অধিকার, বুঝে দেবেন, জেনে দেবেন, সকাল সকাল গিয়ে ভোট দেবেন, নিজের ভোট নির্ভয়ে নিজে দেবেন।