নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লাইটার জাহাজের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে। রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে কয়লা ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধ এবং অন্যজন ২৫ বছরের তরুণী তীরে এসে মারা যান। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে ৬০ বছরের বৃদ্ধের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম জয়নাল ভূঁইয়া। সাঁতরে তীরে ওঠার পর স্ট্রোক করে মারা গেছেন। নিহত জয়নাল ভূঁইয়া মুন্সিগঞ্জের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
তিনি পেশায় একজন ড্রেজার ব্যবসায়ী। তিনি সাইট ভিজিটের জন্য গিয়েছিলেন ডেমরায়। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।
তীরে উঠা যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ৫০/৬০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চটিকে একটি লাইটার জাহাজ (কার্গো জাহাজ) ঠেলে প্রায় একশত ফুট নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এসময় যাত্রীদের চিৎকারের ঘটনাস্থলের বাতাস ভারী হয়ে উঠে। মুহুর্তেই অনেকে প্রাণ রক্ষায় নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে।
কিন্তু বাকী যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চ মাঝ নদীতে ডুবে যায়। অনেককেই সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে দেখা গেছে। তবে বেশ কিছু যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীর ডুবরী দল ঘটনাস্তলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা বলেন, চর সৈয়দপুর এলাকায় রূপসী-৯ নামে একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুলাই শীতলক্ষ্যা নদীর একই স্থানে এক কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে৷ এতে নারী ও শিশুসহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়৷