বৃহস্পতিবার ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৮:২৮
শিরোনামঃ
Logo অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ,সিলগালাসহ মালিককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড  Logo রাজশাহীতে তালা ভেঙে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরির ঘটনা Logo বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীদের বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে-(৯ এপ্রিল) দুপুর ২টায়রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। Logo আত্রাইয়ে ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন Logo একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড কালচার , কুচবিহারের পরিচালনায়, রিদম গ্রুপ প্রদর্শনীর শুভ সূচনা হলো। Logo মেদিনীপুর জেলায় এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ, নাবালিকা তমলুক হসপিটালে চিকিৎসাধীন। Logo দরজা খোলা পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে চোরের ছুরিকাঘাতে স্বামী-স্ত্রী জখম  Logo রাঙ্গুনিয়ায় নবাগত ইউএনও কামরুল হাসানের যোগদান Logo ঝিনাইগাতীতে ১৮ বছর ধরে সেতু নির্মাণ প্রস্তাব ফাইল বন্দি, ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ Logo বিরিয়ানি হাউসকে লাখ টাকা জরিমানা

‘শেখ রাসেল ছিল সর্বক্ষণ আমাদের সবচেয়ে বেশি আদরের। ’

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: অক্টোবর, ১৯, ২০২১, ৭:২০ অপরাহ্ণ
  • ২৫৮ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

নগর সংবাদ।।

নিজের ছোট ভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ও ছিল একেবারে আমাদের চোখের মণি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ রাসেলের জন্মের সময়কার স্মৃতিচারণ করে বড় বোন শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৭ তারিখ দিবাগত রাত দেড়টা কি দুটো, এ রকম সময়ে রাসেলের জন্ম হলো। আমাদের বড় ফুফু, মেজো ফুফু তখন আমাদের বাসায়।

যখন খবরটা আমরা পেলাম তখন তো আমাদের খুশি আর ধরে না। ’
‘আমি যেই প্রথম কোলে নিলাম ওর মাথা ভর্তি, কালো ঘন চুল, আমার গায়ে ওড়না ছিল সে ওড়না দিয়ে মাথা মুছে, চিরুনি নিয়ে এসে ওর মাথা আচড়াতে গেলে ফুফু আমাকে ধমক দিল যে, এটুকু বাচ্চার মাথায় চিরুনি দেয় না।

এত ঘন কালো চুল। এর চিরুনি দিতে হয় না, চামড়া উঠে যাবে।
তখন থেকেই ও ছিল একেবারে আমাদের চোখের মণি। সবার, প্রত্যেকটা ভাই-বোনের জন্য, এ আনন্দটা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এত খুশি ছিলাম এবং আমরা সর্বক্ষণ ওকে নিয়ে খেলতে… ও আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে ওর একটা করে ছবি তুলতাম। দুটো অ্যালবামও করে রেখেছিলাম। ওর যে পরিবর্তনটা, বিশেষ করে তিন মাস পর পর একটা ছবি। আর সর্বক্ষণ ও আমাদের সবচেয়ে বেশি আদরের ছিল। ’

বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বলেন, ‘আমরা ভাই-বোন সবসময় ওকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। ওর হাঁটা-বসা। ও একেকটা ধাপে একেকটা জিনিস শিখেছে, সবকিছু আমাদের সাথেই। ওর সঙ্গে একটু খুনসুটি করা, ওকে একটু আদর করা—সবকিছুর সঙ্গেই আমরা সারাক্ষণ। স্কুল থেকে এসেই হাতটা ধুয়েই আগে আমাদের কাজ ছিল রাসেলকে কোলে নেওয়া। যাওয়ার আগে রাসেলকে কোলে নেওয়া। মনে হতো, আমাদের হাতে একটা খেলার পুতুলের মতো। আমরা প্রত্যেকটা ভাই-বোনই সবসময় ওর জন্য খুবই ব্যস্ত থাকতাম। ’

শেখ রাসেলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৪ সালের অক্টোবরে ওর জন্ম। ৬৬ সালের মে মাসে আমার আব্বা যখন ৬ দফা দিলেন। তখন তিনি খুব ব্যস্ত। যখন ফাতেমা জিন্নাহ ইলেকশনের ক্যাম্পেনিং শুরু করেন, ওই সময় তিনি কিন্তু আরেকবার গ্রেফতার হয়ে যান। কিছুদিন তাকে বন্দি করা হয়, তারপর মুক্তি পান। ৬ দফা দেওয়ায় আসলে এত ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু রাসেলকে প্রতি রাতে শোবার সময় নিজের হাতে রাসেলের দুধের বোতল ধরে রাখা, তাকে খাওয়ানো। আব্বা খুব চেষ্টা করতেন, আগ্রহী ছিলেন। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ও (রাসেল) আসলে আব্বাকে খুব বেশি পায়নি। ’৬৬ সালে ৬ দফার পর আব্বা যখন অ্যারেস্ট হয়ে গেলেন, ও তো কেবল ছোট, হাঁটা শিখেছে, কথা বলতে শিখেছে, দেখাতে হতো কারাগারে। ও এটা কিছুতেই মানতে চাইতো না। কান্নাকাটি করতো আর তখন তো ভালোভাবে কথাও বলতে পারতো না। যেদিন আমরা জেলখানা থেকে দেখা করে আসতাম সেদিন আমরা দেখতাম ও ঘুমাচ্ছে না, বিছানায় বসে বসে কাঁদতো। কেন যে কাঁদছে সেটাও বোঝা যেত না। ’

ও চাইতো আমরা সব ভাই-বোন ওর কাছে চলে আসি। তো আমরা কামাল-জামাল-রেহানা আমরা সবাই ওকে ঘিরে বসতাম। ওর কান্না থামানো, ওকে দেখা। …ও যে বাবার জন্য কাঁদছে, সেটা সে বলতেও পারতো না। কিন্তু ওর যে কান্না, ওর যে কষ্ট সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারতাম। একটু বড় হয়ে সে আব্বা বলে ডাকবে, মা তখন বলতো, তুমি আমাকে আব্বা বলে ডাকো। মাকেই আব্বা ডাকা শুরু করলো। ’

রাসেল খুব চাপা স্বভাবের ছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাসেল খুব চাপা স্বভাবের ছিল। ও যে কাঁদতো, চোখে যে পানি, যদি আমরা দেখতাম বলতো না চোখে যেন কি পড়লো। ও কিছুতেই স্বীকার করতে চাইতো না। ও যে সবার জন্য কাঁদছে, ও যে সবাইকে চায় এটা কখনো মুখে বলতো না। ’

সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে শেখ রাসেলের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জুলাই মাসে জয়ের যখন জন্ম হলো তখন একটু নরমাল হলো। ও ছোট্ট জয়কে পেয়ে খুব খুশি। যুদ্ধের সময় ও তুলো যোগাড় করে ওর পকেটে রাখতো। যখনই এয়ার এটাক হতো তখন সাথে সাথে সে একটু তুলো নিয়ে জয়ের কানে দিয়ে দিতো। নিজের কানেও দিতো। রাসেল সবসময় খুব খেয়াল রাখতো। ’

বাংলাদেশের সব শিশু বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে সুখে থাকুক সে কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবসময় চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে নিয়ে একটা ভালো জীবন পাক। আর কোনো শিশুই যেন ক্ষুধার্ত না থাকে। রোগে ধুকে ধুকে কষ্ট না পায়। সবার জীবনটা যেন সুন্দর হয়। সবার জীবনটা যেন অর্থবহ হয়, তারা মানুষের মতো মানুষ হয়। সেটাই আমি চাই। ’

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell