সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলায় পঞ্চসার ইউনিয়নের জোড়পুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, মনির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, মনিরকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা করছেন শ্বশুরবাড়ি লোকজন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের জোর পুকুরপাড় এলাকার ইউনুছ শেখের মেয়ে সায়লা আক্তারের সঙ্গে মনিরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিন বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে। জোড়পুকুরপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। মনির বিভিন্ন মেলায় ভাসমান চটপটির দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন।
বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই মনিরের ঝগড়া হতো। সোমবার রাতে মনিরের ভাড়া বাসায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিলেন। সেখান থেকে মৃত অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মনিরের স্বজন গফুর দাবি করেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনিরের স্ত্রী ও তার বড় ভাই আল-আমিন তাকে ফোন করেন। সেসময় মোবাইলফোনের মধ্যে অনেক চিৎকারের শব্দ শুনতে পান তিনি। এর ২০-২৫ মিনিট ফের ফোন করে তাকে জানানো হয়, মনির মারা গেছেন। তাদের ধারণা, মনিরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরের শ্বশুরবাড়ির কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এম এ কালাম তালুকদার বলেন, রাত ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের গলায় ফাঁসের কোনো চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।