মঙ্গলবার ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:০৫
শিরোনামঃ
Logo কল্যানকর রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ভুমিকা রাখতে হবে, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বীরগঞ্জ পথসভায় Logo ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আজ মঙ্গলবার। Logo কলকাতা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ও প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে, বর্ষশেষে গ্ৰামীন কৃষ্টি উৎসব ২০২৪ Logo দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে বিচার বহির্ভূত সকল গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে Logo রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হসপিটালে বার্ষিক সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয় Logo চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭জন নাবিক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রামের নাবিকেরা Logo বিবাহ বিচ্ছেদের পর পিতা সন্তান কে বিক্রি করে, মায়ের অভিযোগ থানা পুলিশ শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন,পুলিশের মহানুভবতায় Logo কুমিল্লা চান্দিনায় ঘটনায় প্রায় শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই Logo টাচ্ স্টোন এডুকেশন হোম স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল, মেধাবৃত্তিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে নারী ডাক্তার অপহরণ – সন্ধান পাওয়া যায়নি,উদ্ধারে চেষ্টা চলছে,, পুলিশ

শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কতিপয় শ্রমিক নেতার বিদেশিদের কাছে নালিশ জানানো প্রবনতার সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: মে, ৯, ২০২২, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬১ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কতিপয় শ্রমিক নেতার বিদেশিদের কাছে নালিশ জানানো প্রবনতার সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে অহেতুক বিদেশিদের পিছনে না ছুটে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোনো একটি কারখানা যদি তৈরি হয় তাহলে মালিক সেখানে পুঁজি দেয় আর শ্রমিক শ্রম দেয়। মালিকের পুঁজি এবং শ্রমিকের শ্রম নিয়েই কারখানা চালু থাকে, উৎপাদন বাড়ে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়।’

‘একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে সকলেরই দায়িত্ব থাকে আর সেক্ষেত্রে মালিকের দায়িত্ব থাকে শ্রমিকের ওপর, অন্যদিকে শ্রমিকের দায়িত্ব থাকে মালিকের ওপর,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ রোববার প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, যে কারখানা পরস্পরের রুটি রুজি এবং জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে তা যেন ভালোভাবে সচল থাকে সেটা যেমন শ্রমিকের দেখার দায়িত্ব, তেমনি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে কি না এবং তাদের জীবন মান উন্নত হচ্ছে কি না বা কাজের পরিবেশ পাচ্ছে কি না সেটাও মালিকদের দেখতে হবে। তাহলেই উৎপাদন বাড়বে এবং মালিক, দেশ ও শ্রমিক সকলেই লাভবান হবে।’

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের শ্রমিক, কৃষক, মেহেনতি জনতার ভাগ্য পরিবর্তনে এবং জাতির পিতার যে আকাঙ্খা, এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশকে উন্নত করার ক্ষেত্রে এই শ্রমিক শ্রেনীর অবদানটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে যদি সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে তবে কখনই উন্নয়ন হয় না।

তার সরকার শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কতিপয় শ্রমিক নেতার বিদেশিদের কাছে নালিশ জানানো প্রবনতার সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, আমরা যে শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেছি তারপরেও আমরা দেখি যে, আমাদের দেশে কিছু কিছু শ্রমিক নেতা আছেন তারা কোনো বিদেশি বা সাদা চামড়া দেখলেই তাদের কাছে নালিশ করতে খুব পছন্দ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না এই মানসিক দৈন্যতা কেন, নাকি এরসঙ্গে অন্য কোনো স্বার্থ জড়িত আছে।

তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি, কোনো সমস্যা হলে আমাদের দেশের মালিক ও শ্রমিকরা একসঙ্গে বসে সেটা সমাধান করতে পারেন। কাজেই কেন নিজের দেশের বিরুদ্ধে অন্যের কাছে বলতে বা কাঁদতে যাব। আমরা তো এটা চাই না। কেননা, বাংলাদেশ তার আত্মমর্যাদা নিয়েই চলবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সেই সব শ্রমিক নেতাদের বলব, বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন। আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় তাহলে আমি আদায় করে দেব। আমিই পারব। এটা আমি বলতে পারি।

শিশুশ্রম বন্ধে তার সরকারের উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিশুরা শ্রম না দিয়ে আগে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। শিশুশ্রম যাতে বন্ধ হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদেরকে আমরা স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের যে নীতিমালা ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো শিশুশ্রম থাকবে না।

তিনি বলেন, এখানে একটু ব্যতিক্রম আছে। কিছু কিছু ট্রেডিশনাল কাজ থাকে সেগুলো যদি ছোটবেলা থেকে রপ্ত না করে তবে তাদের পৈত্রিক যে কাজগুলো বা ব্যবসাগুলো সেগুলো চালু থাকবে না। কারণ, এটা হাতে-কলমে শিক্ষা। কিন্তু সেটা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নয়। কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোনো শিশুকে ব্যবহার করা যাবে না। সেটা আমরা বন্ধ করেছি। কিন্তু তাদের যে ট্রেডিশনাল ট্রেনিং সেটা বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে তারা করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে তিনি পারিবারিক তাঁত শিল্পে জড়িত অনেক শিশুকে ছোটবেলা থেকেই কাজে সম্পৃক্ত হতে হয় বলে উদাহারণ দেন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell