ঢাকা প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আয়োজনে সচিবালয়ের বাদামতলা চত্বরে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ায় ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধান অধ্যাদেশের নিবর্তনমূলক ধারা যুক্ত করার প্রতিবাদে এ অবস্থান কর্মসূচি, মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়।
সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা মিছিলসহ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এতে বিপুল সংখ্যক কর্মচারী অংশ নেন। সংযুক্ত পরিষদের নেতারা সাধারণ কর্মচারীদের নিয়ে সচিবালয়ের ৩, ৪ ও ৫ ভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সেখানে অবস্থান নেন। উপদেষ্টা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় কর্মচারীরা লেজিসলেটিভ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। সচিব বলেন, এ অধ্যাদেশটি উপস্থাপিত হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। তবে আপনাদের যৌক্তিক বিষয়গুলো বিবেচনারও যথেষ্ট সুযোগ আছে, আমার তরফ থেকে সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।
রপর তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব দপ্তরে তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সিনিয়র সচিব নেতাদের কথা শোনেন এবং নিবর্তনমূলক আইন যাতে বাস্তবায়িত না হয় সে বিষয়ে কার্যক্রম নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মূলত এ আইন প্রস্তাব আকারে আমাদের কাছে এসেছে। তার কথা শুনে কর্মচারী নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং সচিবালয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশকে অশান্তিময় করার অযৌক্তিক প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্য জোর অনুরোধ জানান এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো কার্যক্রম নেওয়া হলে তার দায়-দায়িত্ব সাধারণ কর্মচারীরা বহন করবে না বলে জানান।
এ পর্যায়ে সিনিয়র সচিব জানান, তাদের জানান আপনাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হবে না। অন্যান্য বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) ও প্রশাসন উইংয়ের প্রধান আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যৌক্তিক সমাধান করবেন।
তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে নেতারা বলেন- নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং সবাই শৃঙ্খলা বজায় রেখে আন্দোলনের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। এসময়ে মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।