সাংবাদিকদের মারধর, ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোবাইল লুট মামলায় -বি এন পি নেতা শাহাদাতকে কারাগারে।
ফতুল্লা প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকসহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর, ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোবাইল লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার গ্রেফতার প্রধান আসামি জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ শাহাদাতকে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারাায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান জানান, আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখে রিমান্ড শুনানি হবে।
এর আগে বুধবার (৫ নভেম্বর) হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহাদাত ও শহীদের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক মো. আকাশ। তিনি অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি।
মামলার এজাহারে বাদী আকাশ উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এক নারীর জমি দখল করতে তাদের পরিবারকে তিনদিন অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠে জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত ও তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে। শাহাদাত হোসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সত্যতা যাচাই ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থলে গেলে ভূমিদস্যু শাহাদাত ও তার বাহিনীর হামলায় গুরুত্বর আহত হন জাগো নিউজের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আকাশ, স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জের ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও তাদের সহকারী আয়াজ রেজা আরজু। ওই সময়ে অভিযুক্ত শাহাদাতসহ হামলাকারীরা তাদের তিনজনের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। প্রায় তিন ঘন্টা একটি তাদের আটকে রেখে লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে মারধরও করা হয়। পরে সাংবাদিকরা খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আহত তিনজনকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শাহাদাতকে আটক করে।
সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও পিন্ট মিডিয়াতেও সংবাদ প্রচার হয়।