নগর সংবাদ।।সিদ্ধিরগঞ্জে কলেজ ছাত্র রানা (২০) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে জীবন (২৫) নামে এক বখাটে গার্মেন্টস কর্মী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ আগষ্ট) সকাল ১১ কদমতলী দক্ষিণ নাভানা ভূঁইয়া সিটি সংলগ্ন কাশেম পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, কলেজ ছাত্র ছাত্র রানা খুন হওয়ার খবর পেয়ে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদমুখর হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত রানার মামা শাহজাদা জানান, রানা সরকারি আদমজীনগর এম ডব্লিউ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা রায়হান উদ্দিন পদ্মা ও মেঘনা ডিপোতে তেলের গাড়ীতে কাজ করেন।
একই এলাকার খলিল হোসেনের পুত্র বখাটে গার্মেন্টস কর্মী জীবন দীর্ঘদিন যাবত চরম উচ্ছৃংখল জীবন-যাপন করতেন। শনিবার সকালে জীবন বিজয় নামের এক ছেলেকে রানার বাড়িতে পাঠিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে আসে।
রানা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জীবনের কাছে ডাকার কারণ জানতে চায় এবং বলে তোমার সাথে চলতে দেখলে আমার মা-বাবা অনেক রাগ করে। এ সময় জীবন রানাকে বলে ওঠে তুই ম্যাচ নিয়ে আসিস নাই কেন ? আমি তোমার জন্য ম্যাচ নিয়ে আসব কেন ? এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে জীবন রানার বুকের বাম পাশে সজোরে ঘুষি মারে এবং তার সাথে থাকা আরো ৪/৫ জন উপর্যুপুরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকলে রানা ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে জীবন ও তার সহযোগীরা রানাকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রানার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জীবন ও তার সহযোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রানার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে রানার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হঢ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম-বার জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।