মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মে সিদ্ধরগঞ্জের নয়া আটি এলাকার আব্দুর রহিম মিয়ার মেয়ে রুমা আক্তার তাহার কর্মস্থলথেকে বাড়িয়ে ফিরে ইফতার করার পর সন্ধ্য অনুমান ৭ ঘটিকায় তাহার মোবাইলে একটি ফোন এলে সে বাহিরে যাওয়ার জন্য প্র্স্তুত হয়। তখন রুমার মা জিজ্ঞেস করে সন্ধ্যা বেলা তুই কোথায় ঢ়াস। তখন রুমা জানায় পাঠানটুলিেত তার পরিচিত আছমা আক্তার টুম্পা নামে এক বড় বোন ফোন করেছে তার ভাইয়ের গায়ে হলুদ। এই বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ষায়। রাত গভীর হলে সে বাড়িতে ফিরে না এলে তার মা অনেক খুঁজা খুঁজি করে না পেয়ে তার নিকটাত্মীয়দের জানায়।
পরের দিন ১৪মে সন্ধ্যা রুমার মোবাইল থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে রুমা কান্নাঝরা কন্ঠে বলে মা ওরা আমাকে শেষ করে ফেলেছে। আমি হয়ত আর বাঁচব না। এ কথা বলতেই একটা মেয়ে কন্ঠ শুনতে পায় সে রুমাকে ধমক দিয়ে বলে তুই কার সাথে কথা বলছিল একথা বলে রুমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। এই ফোনালাপের পর রুমার মা আরও বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি সোনামিয়া মার্কেটে তার এক পরিচিত লোক, তার ভাগিনা সেলিম ও আত্মীয়রা সারা দিন সারা রাত খুঁজাখুঁজি করে বিষয়টি থানাকে জানানোর জন্য রওনা হলে ১৫মে ভোর ৪ঘটিকার সময় রুমার মোবাইল নম্বর থেকে একটা মেয়ে ধমকের গলায় বলে আপনার মেয়ে শারিরীক ভাবে খুভ অসুস্থ। এই বলে আবারও মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
কিছুক্ষণ পর একই নম্বর থেকে আবারও ফোন করেে সে বলে আপনার মেয়েকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা সেখানে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর আবারও ফোন করে রুমার মাকে ফন করে বলে রুমা মারা গেছে। আপনারা নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট চলে আসেন। রুমাার মা ঐ মেয়ের সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলে যাতে সে মোবাইল ফোন বন্ধ না করে। এভাবে কয়েক বার কথা বলার পর রুমার মা ও তার স্বজনরা ভোর সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ ঘাটে পৌঁছলে ঐ মেয়েকে ফোন দিলে অনেক্ষন পরে ঐ মেয়ে তাহাদের অবস্থান লক্ষ্য করে সামনে আসে এবং একটি অটো দেখিয়ে বলে আপনার মেয়ে জীতুর ড্যান্স ক্লাবে মদ খেয়েছে পরে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
রুমার মা বুঝতে পারে এই মেয়েটাই টুম্পা। রুমার স্বজনরা টুম্পাকে ধরে ফেলে। পরে অটোতে পা ছড়ানো অবস্থা মুখে৷ ওরনা দিয়ে ঘোমটা দেওয়া চোখ খোলা অবস্থা রুমার মরদেহ সহ টুম্পাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। থানা কতৃপক্ষ রুমার মা ও স্বজনদের মুখে সব ঘটনা শুনে টুম্পাকে থানা হাজতে আটক করে। রুমার মরদেহ ময়না তদন্তের পর রুমার মরদেহ মার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে থানা কতৃপক্ষ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মামলা হবে বলে রুমার মাকে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়। এরই মধ্যে লাশ দাফন করে থানায় এলে থানা কতৃপক্ষ মামলা হবে হচ্ছ ঘুরাতে থাকে বিধায় আদালতে মামলা দায়ের করে। রুমার মার অভিযোগ তার মেয়ে রুমাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতনকরে ও জোর করে বিষাক্ত মদ খাওয়াইয়া হত্যাকরে।