নগর সংবাদ।।স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব। ধাপে ধাপে এগিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ। পদ্মা সেতুর রেলপথের সব স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে রেলপথ ধরে এখন হেঁটে মূল সেতু পার হওয়া যাবে। গত রবিবার বিকাল ৪টায় ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর স্ল্যাব দুটি বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সেতুর নিচতলার সব স্ল্যাব বসানোর কাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি কংক্রিট স্ল্যাবের মাধ্যমে জোড়া দেয়া হয়েছে। তবে মূল সেতু থেকে মাটি পর্যন্ত (ঢালু ফ্লাইওভার) পথের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আগামী ডিসেম্বরের দিকে সেটা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বসানো হবে রেললাইন। সেতুটিতে যানবাহন চলাচলের জন্য ২ হাজার ৯১৭টি স্ল্যাব জোড়া দিয়ে পথ তৈরির কথা ছিলো। এই কাজ শেষ হবে আর মাত্র ২২৮টি স্ল্যাব জোড়া দিলেই। যানবাহন চলাচলের পথে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মূল সেতু থেকে মাটি পর্যন্ত উড়ালপথ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে শেষ হবে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত। সব মিলিয়ে মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের পথে হেঁটে পার হওয়া যাবে সেপ্টেম্বরে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রেল স্ল্যাব বসানো শুরু হয়েছিল। প্রকল্প এলাকায় তৈরি করা কংক্রিটের স্ল্যাবগুলো প্রায় পৌনে ৩বছরে বসিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ৪২ ফুট চওড়া স্প্যানের উপর তলায় ৭২ ফুট প্রস্তের ফোর লেনের সড়ক পথ তৈরি করা হচ্ছে। আর নিচ তলায় ১৭ ফুট প্রস্তের রেললাইনের সব কটি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেতুর নিচতলায় রেলওয়ে স্ল্যাবগুলোর ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। নিচতলায় রেল লাইনের বাইরে দুই পাশে বিস্তর জায়গা থাকছে। পূর্বপাশে গ্যাস পাইপ বসানো হলেও পশ্চিম পাশে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইন্টারনেট লাইন অপটিক্যাল ফাইবার বসানো ছাড়াও থাকবে সার্ভিস লাইন। এছাড়া, সেতু প্রকল্পের সাথেই ন্যাশনাল গ্রিড লাইন স্থাপন করা হয়েছে পদ্মায়। সেতু থেকে অনেকটা দূরের লাইনে পদ্মা দিয়েই জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চল। বহুমুখী এই সেতু ঘিরে বদলে যাচ্ছে গোটা অঞ্চলের দৃশ্যপট। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতু দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। আর ২০২১ সালের ১ মে সেতুর দুই প্রান্তের ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সেতু দৃশ্যমান হয়।