যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশি এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভারতীয় তরুণী। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন তিনি। বাদীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন হায়দার তানভীরুজ্জামান। তবে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১২ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার অফির্সাস ইনচার্জ (ওসি) মঈনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে কে বলেন, ‘ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ভারতীয় তরুণী মেহেজাবিন চৌধুরী ওরফে অমৃতা দত্ত চৌধুরী শেরপুরের যুবক আব্দুল ওয়াকিলের নামে মামলা করেছেন। আমরা তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মেডিকেলে পড়ালেখা করতে বাংলাদেশে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশি যুবক আব্দুল ওয়াকিলের সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ওয়াকিল তাকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলেন। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বরে ঢাকা জজ কোর্ট থেকে এফিডেভিড করে এক লাখ টাকা কাবিননামায় তারা বিয়ে করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় অনেক ধনসম্পদ আছে জেনে ওয়াকিল ওই তরুণীর কাছে যৌতুক দাবি করতেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে ওয়াকিল বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে তাকে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যেতেন এবং মাঝেমধ্যে হোটেলে একসঙ্গে থাকতেন। বর্তমানে ভারতীয় ওই তরুণী নয় সপ্তাহের গর্ভবতী। গত ৫ মার্চ বিষয়টি জানালে ওয়াকিল তাকে গর্ভপাত করতে বলেন। প্রতিবাদ করলে তাকে চড়থাপ্পড় মারেন। তাকে ১০ লাখ টাকা না দিলে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে মেহেজাবিন চৌধুরী ওরফে অমৃতা দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে তিনি আমাকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছেন। আমি নয় সপ্তাহের গর্ভবতী। আমাকে এখন ডিফোর্স দিতে চাচ্ছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই। তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।’