বৃহস্পতিবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১২:৫৭
শিরোনামঃ
Logo বিআরটিসি এবার চেসিস কিনে বাস বানাতে যাচ্ছে Logo নীলফামারীর জলঢাকা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং মত বিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত। Logo চুপ করে থাকার উপকারিতা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় Logo বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কর পরিশোধে ফি বা চার্জ বেঁধে দিল Logo যুবলীগের সভাপতি তিন মাসেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর বের হলেই গুরুতর কুপিয়ে জখম  Logo শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ,বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo ঘুষের টাকার নিচ্ছেন এসআই ভিডিও ভাইরালের পর সাময়িক বরখাস্ত Logo চায়ের সঙ্গে একমুঠো শুকনো মুড়ি খেতে পারেন Logo বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে বিচারিক সহযোগিতার জন্য সূচনা Logo গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুই বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট

৩০ নম্ভেবর রায় মির্জা আব্বাসের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ ১৩ বছরের সাজা হতে পারে

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ৩০, ২০২৩, ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ
  • ৮০ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

৩০ নম্ভেবর রায় মির্জা আব্বাসের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ ১৩ বছরের সাজা হতে পারে

কোর্ট প্রতিনিধি।।

১৬ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি দুদকের। ফলে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুদকের। তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে। ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদক উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল। গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। ওইদিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। যেসব ধারায় কারাদণ্ড হতে পারে আব্বাসের সহায় সম্পত্তির ঘোষণা সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন কোনো তথ্যের ভিত্তিতে এবং উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় [অনুসন্ধান] পরিচালনার পর যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি, বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, বৈধ উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রহিয়াছেন বা মালিকানা অর্জন করিয়াছেন, তাহা হইলে কমিশন লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত ব্যক্তিকে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়-দায়িত্বের বিবরণ দাখিলসহ উক্ত আদেশে নির্ধারিত অন্য যে কোনো তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) এর দুটি ধারার মধ্যে (ক) উপ-ধারা (১) এ বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত আদেশ প্রাপ্তির পর সে অনুযায়ী লিখিত বিবৃতি বা তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হন বা এমন কোনো লিখিত বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করেন যাহা ভিত্তিহীন বা মিথ্যা বলিয়া মনে করিবার যথার্থ কারণ থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷ আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে তার সবোর্চ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত তার সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশা করছি একই ধারার (খ) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বই, হিসাব, রেকর্ড, ঘোষণা পত্র, রিটার্ন বা উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো দলিলপত্র দাখিল করেন বা এমন কোনো বিবৃতি প্রদান করেন যাহা ভিত্তিহীন বা মিথ্যা বলিয়া মনে করিবার যথার্থ কারণ থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷ জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের দখল দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তাহার নিজ নামে বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির নামে, এমন কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রহিয়াছেন বা মালিকানা অর্জন করিয়াছেন, যাহা অসাধু উপায়ে অর্জিত হইয়াছে এবং তাহার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ বলিয়া মনে করিবার যথেষ্ট কারণ রহিয়াছে এবং তিনি উক্তরূপ সম্পত্তি দখল সম্পর্কে আদালতের নিকট বিচারে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন; এবং উক্তরূপ সম্পত্তিসমূহ বাজেয়াপ্ত যোগ্য হইবে। এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নগর সংবাদ কে বলেন, এ মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। রায়ে তার সবোর্চ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত তার সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell