মঙ্গলবার ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১০:০৮
শিরোনামঃ
নীলফামারীতে ট্রাক টার্মিনাল ও নিরাপদ বাইপাস সড়কের দাবিতে মানববন্ধন West Bengal INTTUC Trinamool Congress calls for protest and sit-in against Bengali speakers রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দালাল চক্রের ৪ জন আটক -বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি সম্পত্তির তথ্য গোপন স্ত্রীর ধমক বঙ্গ গৌরব সম্মান ২০২৫”মিশন বিশ্ব গুরু ভারত ও সেভ বেঙ্গল কমিউনিটি এন্ড কালচার জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠক” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘দ্রুত দেশে ফিরবেন-লুৎফুজ্জামান বাবর। পটুয়াখালীতে দুই শিশুকে “বদজ্বিন ভর করেছে”ভয় দেখিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণ-থানায় মামলায় গ্রেফতার জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি আড়াইহাজারে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু চৌহালীতে বৈন্যা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা বিনা বেতন-ভাতায় চাকরি করছে ১৩ শিক্ষক আশুলিয়ায় সন্তানসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার

৫ আগস্টের পরে একধরনের ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকে চাকরিতেই আর ফেরেননি। যারা এখন দায়িত্ব পালন করছেন তারাও কাজ করছেন ঝুঁকি নিয়ে-মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে না দেওয়া হয় ,,পুলিশের নিরাপত্তা’ দেবে কে?

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুন, ১২, ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
  • ৪৮ ০৯ বার দেখা হয়েছে

বিগত ৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন একধরনের ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকে দায়িত্বের বাইরে ছিলেন দীর্ঘ সময়। অনেকে চাকরিতেই আর ফেরেননি। যারা এখন দায়িত্ব পালন করছেন তারাও কাজ করছেন ঝুঁকি নিয়ে। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট করা অনেক অস্ত্র-গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। অনেক অস্ত্র চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে।

এ অবস্থায় পুলিশকে যদি মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে না দেওয়া হয় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, সাহস কিংবা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ কাজ করতে পারবে না। পুলিশ যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধরতে অভিযান চালাবে, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে। মারণাস্ত্র না থাকলে পুলিশকেই বা অপরাধীরা সমীহ করবে কেন। পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার চেয়ে কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে, অযাচিতভাবে ব্যবহার করলে কী শাস্তি হবে- এসব বিষয়ে ভাবা উচিত। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা তো সমাধান নয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন সদস্য বলেন, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না দিলে পুলিশ আক্রান্ত হলে সেই দায় কার। পুলিশকে নিরাপত্তা দেবে কে। তখন কি পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে অন্য বাহিনীকে আনা হবে?

পুলিশ বাহিনীকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

গত বছর জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে নির্বিচারে অস্ত্র ব্যবহার করে ভাবমূর্তির সংকটে থাকা পুলিশ বাহিনীকে আর কোনো মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। শুধু আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে। ১২ মে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য থেকে শুরু করে পুলিশ সদর দপ্তর পর্যন্ত আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আলোচনা শুধু যে পুলিশের মধ্যে সীমাবদ্ধ তা নয়, টেলিভিশনের টকশো কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও পুলিশের মারণাস্ত্র নিয়ে চলছে আলোচনা।

পুলিশ প্রবিধানের ১৫৩ ধারা অনুযায়ী, তিন ক্ষেত্রে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এগুলো হলো- ব্যক্তির আত্মরক্ষা ও সম্পদ রক্ষার অধিকার প্রয়োগ, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ও গ্রেফতার কার্যকর করা।

পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ সদস্যদের বেপরোয়া মারণাস্ত্র ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু যখন পুলিশ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত থাকবে, তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ‘হিতে বিপরীত হতে পারে’। অপরাধীদের হাতে থাকা আধুনিক অস্ত্রের বিপরীতে শুধু ‘শটগান’ বা খালি হাতে থাকা পুলিশ তাদের মোকাবিলা করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত পুলিশের মনোবল বাড়ানোর পরিবর্তে আরও দুর্বল করে তুলবে। পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। তবে বিক্ষোভ বা আন্দোলন দমনে যেন মারণাস্ত্র ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তারা।

নিরাপত্তা ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে পুলিশের দুর্বলতায় দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। সীমান্ত দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেদারছে অস্ত্র প্রবেশ করেছে দেশে। এসব অস্ত্র সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে চরমপন্থি, জলদস্যু, মাদক গডফাদার, পেশাদার অপরাধী, শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর কাছে রয়েছে। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ইতোমধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়া চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, গোলাগুলির মতো ঘটনা এখন প্রায়শই ঘটছে। নিরাপত্তা শঙ্কায় লুট হওয়া ও হদিস না পাওয়া অস্ত্র উদ্ধার জরুরি। তাই অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মতো অন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হলে অবশ্যই পুলিশকে নিজের নিরাপত্তার জন্য মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। তবে বিভিন্ন দাবি আদায়ের আন্দোলন, জমায়েতের মতো ঘটনায় মারণাস্ত্র ব্যবহার না করাই উত্তম।

পুলিশের হাতে কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কীভাবে কাজ করবে, সেসব বিষয় ঠিক করতে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশের লুট হওয়া ১৩৬৯ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর ৫ হাজার ৭৫৩ অস্ত্র ও ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২টি গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। অভিযানের পরও উদ্ধার হয়নি ১ হাজার ৩৬৯টি অস্ত্র।চায়না রাইফেল লুণ্ঠিত হয় ১ হাজার ১০৬টি, উদ্ধার ৯৯১টি। রাইফেল-টি লুণ্ঠিত হয় ১২টি, উদ্ধার ১১টি। এসএমজি-টি ৫৬ লুণ্ঠিত হয় ২৫১টি, উদ্ধার ২২১টি। এলএমজি-টি ৫৬ লুণ্ঠিত হয় ৩৪টি, উদ্ধার ৩১টি, উদ্ধার হয়নি তিনটি। পিস্তল-টি ৫৪ লুণ্ঠিত হয় ৫৩৯টি, উদ্ধার ৩২৫টি। মি.মি পিস্তল লুণ্ঠিত হয় ১ হাজার ৯২টি, উদ্ধার ৬৩০টি। এসএমটি লুণ্ঠিত হয় ৩৩টি, উদ্ধার ৩৩টি। বোর শটগান লুণ্ঠিত হয় ২ হাজার ৭৯টি, উদ্ধার ১ হাজার ৬৭৫টি। গ্যাসগান লুণ্ঠিত হয় ৫৮৯টি, উদ্ধার ৪৫৮টি। টিয়ারগ্যাস লাঞ্চার লুণ্ঠিত হয় ১৫টি, উদ্ধার ৮টি। সিগন্যাল পিস্তল লুণ্ঠিত হয় তিনটি, উদ্ধার একটি।গোলাবারুদ লুট হয় ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২টি, এখন পর্যন্ত উদ্ধার ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭টি।

পুলিশ বাহিনীতে যোগদানে তৈরি হতে পারে অনীহা

ডিএমপির অন্তত পাঁচটি থানার দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২ মে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কোনো নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে দেওয়া হয়নি। তবে কোনো কোনো থানা পুলিশ টহল ডিউটিসহ নিয়মিত কার্যক্রমে শুধু শটগান নিয়ে বের হচ্ছে। অন্য কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নিচ্ছে না।

ডিএমপির অন্তত পাঁচটি থানার দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২ মে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কোনো নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে দেওয়া হয়নি। তবে কোনো কোনো থানা পুলিশ টহল ডিউটিসহ নিয়মিত কার্যক্রমে শুধু শটগান নিয়ে বের হচ্ছে। অন্য কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নিচ্ছে না।

মারণাস্ত্র না থাকলে আত্মরক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে পুলিশ

দেশের আইনে যা আছে

পুলিশ প্রবিধানের ১৫৩ ধারা অনুযায়ী, তিন ক্ষেত্রে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এগুলো হলো- ব্যক্তির আত্মরক্ষা ও সম্পদ রক্ষার অধিকার প্রয়োগ, বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ও গ্রেফতার কার্যকর করা।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell