বাংলাদেশ পুলিশের সাত কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সুপারিশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পদোন্নতির এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ জানুয়ারি অনুমোদন করেছেন।
পদোন্নতির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তারা হলেন- পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার ও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রধান ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দার।
১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা হলেন- অতিরিক্ত আইজির চলতি দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) মো. শাহাবুদ্দিন খান, শিল্প-পুলিশের প্রধান ডিআইজি মাহবুবুর রহমান ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।
অতিরিক্ত আইজিপি হওয়ার শর্ত
পুলিশের ১৭৮টি নতুন পদের গ্রেড ও বেতন নির্ধারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেসময় গ্রেডসহ বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। এতে অতিরিক্ত আইজিপির চারটি পদ হয় দ্বিতীয় গ্রেডে।
তবে শর্তে বলা হয়, ডিআইজি পদে তিন বছর এবং নবম গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডে ১৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই পদের বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ৬৬ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা।
এর আগে ২০২১ সালের ১৭ মে অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২ পদে চারজন পদোন্নতি পান। তারা হলেন- পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন ও বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।