বুধবার ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৪:৫৩
শিরোনামঃ
জনকল্যাণমূলক বৃহৎ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলছেন ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক দল হিসেবে বিবেচিত-হাসনাত আবদুল্লাহ। এটিএন বাংলা-জেএসএস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ উপলক্ষে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ-প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আইভীর জামিন,হত্যাসহ ৫ মামলায় – স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষ। লালদিয়ার চর কন্টেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধন : আন্তর্জাতিক মানে চট্টগ্রাম বন্দর গড়তে বিদেশি ব্যবস্থাপনার আহ্বান এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কলেজ শিক্ষিকা স্ত্রী নিখোঁজ থানায় জি,ডি করতে এসে স্বামী জানেন সে অভিযুক্ত। চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী হাকিম হত্যার রহস্য উন্মোচনে জেলা পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য রাজ্যস্তরের ডাক টিকিট প্রদর্শনী– BONGOPEX প্রেস কনফারেন্স করেন।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ২৫, ২০২৩, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১১৯ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

 

 

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, হয়রানির মুখে গ্রাহক

মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; দিনাজপুরের খানসামায় পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিলে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। কয়েক মাস ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার গুণ অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন, রিডাররা যথাযথভাবে মিটার না দেখে বিল করছেন। মিটার রিডারদের গাফিলতির কারণে তাঁদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এ মাসের বিদ্যুতের বিল দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর। এ দিন খানসামা পল্লী বিদ্যুতের অফিসে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থানকালে বেশ কয়েকজন গ্রাহককে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতে দেখা গেছে। এসব গ্রাহক অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মনগড়া বিল তৈরি করেন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা নিয়ে এজিএম এর কাছে যেতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহকদের। কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নিদিষ্ট কিছু স্থানে বেশি বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন মিটার রিডারের জন্য এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তিনি রুমে বসে এসব মনগড়া বিল তৈরি করেন। এলাকাবাসীর পক্ষ হয়ে ফজলে রাব্বী রানা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা ১৯৮৬ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭০% গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসতেছি। ২০১৭ সাল হতে প্রায় ১০০% ভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। আগে যেখানে আমাদের বিল আসত ২৫০/৩০০ টাকা সেখানে এ মাসে ১৫০০ টাকা এসেছে। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে গেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারন গ্রাহক অফিসে এজিএম সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি অফিস সহায়ক এর মাধ্যমে বলে কথা বলায় দেন। উনার কথা বলার সময় নাই। জরুরী প্রয়োজনে মোবাইল করলে তিনি ফোন ধরেন না। উপজেলার টংগুয়া এলাকার তফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এ মনগড়া বিল নিয়ে আমি হতাশ। আমার গত কয়েকমাসের বিলের তুলনায় এবার তিন গুন বিল এসেছে, এ নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় আছি। এই বিষয় নিয়ে আমি অফিসে গেলে কিছুটা প্রতিকার মিলেছে।’ একই এলাকার গৃহিণী রানী আক্তার দুঃখ করে বলেন, ‘বিল তো এবার বেশি এসেছেই, এছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকলে অভিযোগ করলে দুই দিনও অভিযোগের নিরসন হয় না।’ ভুক্তভোগী মো. শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি বলেন,’এ মাসে এত বিল কেন আসলো আমি বুঝলাম না। এ বিষয়ে এজিএম এর কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে অফিসারের রুমের দরজা বন্ধ পাই। অফিসের অন্য কর্মচারীদের বললে তারা বলেন স্যার মাঠে গেছেন।’ একই অভিযোগ নিয়ে মো. শাহজাহান বলেন,’এরা বাড়িতে বসে এমন অদ্ভুদ বিল তৈরি করেছে। যার ফলে এত টাকা বিল এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।’ ওই এলাকার শতাধিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের মনগড়া ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল তৈরির অভিযোগ করেন। মনগড়া ও মিটার না দেখেই বিল তৈরি করার অভিযোগ স্বীকার করে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদ বলেন, আমাদের অস্থায়ী মিটার রিডার হাবিবুর রহমান তার এরিয়ার নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় এ কাজ করেছেন। তিনি বাসায় বসে বিগত দিনের রেকর্ড দেখে এ কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যাদের বিলের সমস্যা হয়েছে তাদের দ্রুত সমাধান করছি। আমরা সজাগ আছি পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ যেন না হয়।’

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell