ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও অনুভূত তাপমাত্রা আরও বেশি। অত্যধিক গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে।
সপ্তাহের কর্মদিবসের প্রথম দিন হিসেবে রোববার (২১ এপ্রিল) স্বাভাবিকভাবে ঢাকায় যানজট থাকার কথা থাকলেও তীব্র গরমে তা নেই। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সড়কে বের হচ্ছে না। রাস্তায় যানবাহন চলাচলও সীমিত।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলশান, মহাখালী, মিরপুর রোড, বাংলামোটর, সাতরাস্তা, বনানী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসের হেলপার সবুজ মিয়া বলেন, রাস্তায় অতিরিক্ত গরমে যাত্রী কম। জ্যামের দেখাও পাইনি।
শফিকুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, আজ বাসে চলা কষ্টের। যদি এসি বাস থাকতো পর্যাপ্ত, তবে রেহাই পাওয়া যেত। উবার, পাঠাওয়ে যে ভাড়া, তাতে আমাদের মধ্যবিত্তদের চলা সম্ভব না।
গরমে পাঠাও বা উবারের মতো অ্যাপে রাইড দেওয়া বাইকারদেরও আয় কমেছে যাত্রীর অভাবে।
গুলশান অ্যাভিনিউয়ে যাত্রীর জন্যে অপেক্ষা করা রাইডার মিলন রহমান বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ অর্ধেক যাত্রীও নেই। গরমে মানুষ রাস্তায় নেমেছে কম। যাদের অফিস কিংবা জরুরি, প্রয়োজন তারা ছাড়া কেউ রাস্তায় নামেনি। এত ফাঁকা তো সচরাচর দেখা যায় না।
দেশে তীব্র তাপ প্রবাহে হিট অ্যালার্ট চলছে। এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ছুটির ফলে ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে রোববার তা খোলার কথা ছিল। শনিবার দুই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।