মঙ্গলবার ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৬:৪১
শিরোনামঃ
Logo খানসামায় নবাগত ইউএনওর দায়িত্ব গ্রহণ Logo রংপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo মিরপুর ১০ নম্বরে মোটরসাইকেলের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ড Logo সৈয়দপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা Logo যুবদল নেতা মুশফিকুর রহমান “ফাহিম” দাঁড়িয়েছেন দুস্থ অসহায় মেহনতি মানুষের পাশে Logo আধুনিক মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে কাজ করবে রাঙ্গুনিয়া ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল Logo সৈয়দপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা Logo আশা করি সামনের বছরগুলোতে আইন শাস্ত্রের ওপর বই লিখবেন-প্রধান বিচারপতি Logo ইঞ্জিনচালিত ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত Logo স্বনামধন্য আশীষ সেনগুপ্ত মহাশয় স্মৃতির উদ্দেশ্যে শুভ জন্মদিন-রবি ঠাকুরের গানের মধ্যে দিয়ে তাঁকে স্বরণ করেন,,সাহানা কলকাতা।।

অন্যকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে কী বলেছেন নবিজী

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: এপ্রিল, ৭, ২০২২, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
  • ২৯৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

অন্যকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে কী বলেছেন নবিজী

রহমতের মাস রমজান। ক্ষমা ও নাজাতের মাসও এটি। এ মাসের বিশেষ আমল অন্যকে ইফতার করানো। কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে সমপরিমাণ সওয়াব মিলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। অন্যকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে কী বলেছেন নবিজী?

কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো একটি ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। রোজাদারকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সওয়াব বৃদ্ধি এবং গুনাহ মাফের আমল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে পাবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না। সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’

হজরত যায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো, তারও (ইফতার করানো ব্যক্তির) রোজাদারের ন্যায় সওয়াব হবে; তবে রোজাদারের সওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করালো, তাকে পানাহার করালো, তাকেও রোজাদারের সমান সওয়াব দেওয়া হবে; তবে তার (রোজাদারের) নেকি বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না।’ (তাবরানি, মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক)

ইফতার করার দাওয়াত পেলে করণীয়

যদি কেউ কাউকে ইফতারের জন্য দাওয়াত দেয় তবে তার করণীয় কী হবে; এ প্রসঙ্গে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি বর্ণনা রয়েছে। তিনি তাঁর নিজ ভাষায় বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘তাঁকে এক নারী ইফতারের জন্য দাওয়াত করলো, তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘আমি তোমাকে (নারী) বলছি, যে গৃহবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সওয়াব হবে।নারী বলল, ‘আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, ‘আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার অর্জন করুক।’ (মুসান্নেফে ইবনে আব্দুর রাজ্জাক)

হাদিসের আলোকে বুঝা গেলো যে, অন্যকে ইফতার করানো ফজিলতপূর্ণ আমল। কারণ ইফতার করানোর কারণে সারাদিন উপোস থেকে রোজা রাখার মাধ্যমে রোজাদার যে সওয়াব পাবে। শুধু ইফতার করানোর কারণে ওই ব্যক্তির রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে। এর চেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল ও সওয়াবের কাজ আর কী হতে পারে।

সুতরাং মহান আল্লাহ তাআলার অসীম অনুগ্রহ যে, তিনি বান্দার জন্য কল্যাণে ভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। যেমন তিনি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার আহ্বান জানিয়ে সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন। রোজাদারকে ইফতার করানো ঘোষণাও কল্যাণের আহ্বান।

রোজাদারকে ইফতার করানো ফজিলতপূর্ণ আমল। যে রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে সারাদিন রোজা পালনকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ নেকি লাভ করবে। রোজাদারকে ইফতার করালে তার প্রতিদান আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে প্রদান করবেন, রোজাদারের পক্ষ থেকে নয়। এ কারণেই রোজাদারের কোনো নেকি হ্রাস করা হবে না। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ।

মনে রাখা জরুরি

ইফতারের দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ ও কল্যাণের কাজ। কোনো অজুহাতে বা নেকি কমে যাওয়ার আশংকায় ইফতারের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়। আবার কেউ যদি কোনো গরীব রোজাদারকে ইফতারের জন্য আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে; তাতে সে ওই টাকায় ইফতারও করলো; আবার কিছু বাচিয়ে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হালো; এটাও ইফতার করানোর অন্তর্ভূক্ত হবে। আর গরীব ব্যক্তিও আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।

তবে ইফতারের দাওয়াত যদি অসহায় গরীব-দুঃখীর জন্য হয় তবে সেখানে ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করা ঠিক নয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব রোজাদারকে পারস্পরিক দাওয়াত ও সদাচরণ বিনিময়ের তাওফিক দান করুন। অস্বচ্ছল, গরীব-দুঃখীর মাঝে ইফতার ও ইফতার করার জন্য অর্থ দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell