নগর সংবাদ।।আশিকুর রহমান, কলমাকান্দা প্রতিনিধি,, গত বছর যখন মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন তখন কাতালোনিয়ায় মেসি সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল হয়। তখনকার সভাপতি বার্তামেউ এর বিরুদ্ধে মেসি ভক্তরা বিক্ষোভ মিছিল করায় তাকেপদত্যাগ করে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ আবারও মেসিকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে বার্সেলোনা। বৃহস্পতিবার মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের । এরপরই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মেসির সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা জানান বার্সেলোনা। মেসির বিদায় ধুমরে মুচড়ে দিয়েছে দেশি-বিদেশি বিশ্বের সকল বার্সা ভক্ত, মেসি-ভক্তদের মনে ।। আর দেখা যাবে না বার্সার 10 নম্বর জার্সি পরা ফুটবল জাদুকর মেসি কে । এটা যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার সমর্থক রা। রাতে মেসির আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দেওযার পর থেকে ন্যু ক্যাম্পের সামনে ভিড় জমে মেসি-ভক্তদের। অনেকেই আবার লা লিগার প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার অঝোরে কেঁদে চোখের পানিফেলছেন এবং বেশির ভাগ ভক্তরাই মনে করেছিলেন গত বছরের মতো হয়তো এটাও মিথ্যা হয়ে যাবে , কিন্তু এবারেরটা আর মিথ্যে হলো না । সত্যি সত্যি বার্সেলোনা ছাড়তে হচ্ছে ফুটবল জাদুকর মেসি কে। ক্যাম্প ন্যুয়ের এর বাইরে সমর্থকদের ভিড় আর ভিতরে আছেন তার স্ত্রী সহ ৩ জন পুত্র সন্তান এবং সাথে আছেন তার সতীত্ব ফুটবলাররা। এছাড়াও সভাপতিসহ উপস্থিত ছিলেন বার্সেলোনার অন্যান্য কর্মকর্তারাও এবং সংবাদকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করে নিজেকে সামলে নিতে একটু সময় নিলেন এবং পর্যায়ক্রমে কথাবার্তা শুরু করলেন । বিদায়ী বক্তব্য শুরুতেই চোখ মুছে মুছে বললেন ,আমি কয়েকদিন যাবৎ ভাবছি কি বলবো, আর সত্যিটা হলো আমি কি বলবো সেটাই বুঝতে পারছি না। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এতদিন এখানে থাকার পর সত্যিই আজকের দিনটা আমার জন্য খুব কষ্টদায়ক। আমার বেড়ে ওঠা এখানেই,আমার যতটুকু অর্জন সেটা এখান থেকেই পাওয়া। এগুলো বলার পরেই অঝরেই কেঁদে দিলেন মেসি , সাথে কেঁদেছেন উপস্থিত মেসি ভক্তরাও এমনকি সংবাদকর্মীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। তিনি আরো বলেন , এটা আমার ঘর ,আমাদের ঘর ।এখানে আবারও ফিরে আসবো । মেসির বক্তৃতা শেষে আবারো বার্সেলোনায় ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেন আর বার্সেলোনার সাথে থেখে ক্লাবটিকে বিশ্বের সেরা ক্লাব হতে সহায়তা করতে চান।