আর যারা অনিবন্ধিত মোবাইলফোন কিনে ফেলেছেন তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইলফোন কবে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে, এমন প্রশ্নে পলক বলেন, আমরা আশা করছি যে, আমাদের পাঁচ মাস সময় লাগবে। টেকনোলজি ডেভেলপ করা, টেস্টিং করা এবং এটা অপারেশন করতে। হঠাৎ করে আমরা এমন কোনো নীতি চাপিয়ে দিতে চাই না, যাতে করে একটা অস্থিরতা তৈরি না হয়। এই কারণে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন না নিয়ে আসেন। অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন ক্রয় না করেন, যাতে করে পরে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। সেজন্য আমরা একটা রিজেনেবল টাইম দিচ্ছি যে, আগামী তিন মাসে আমরা টেকনোলজি ডেভেলপ করব, পরে দুই মাসে টেস্টিং করবো। আমাদের প্রত্যাশা জুলাই মাসের মধ্যে এটা অপারেশনাল করব। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে যাতে সবাই সতর্ক থাকে এবং এই অবৈধ পথ পরিহার করে সঠিক পথে কেনে।
যারা অনিবন্ধিত ফোন কিনে ফেলেছেন তাদের ফোনের কী হবে, জানতে চাইলে পলক বলেন, যারা কিনে ফেলেছেন তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে। এজন্যই দেরি হচ্ছে যে, নতুন ফোনের রেজিস্ট্রেশন করা আর সেকেন্ড হ্যান্ডফোনের নাম ট্রান্সফার করা।
অনিবন্ধিত ও গ্রে মার্কেটে এমন ফোনের সংখ্যা কত হতে পারে, এ প্রশ্নে পলক বলেন, এই সংখ্যা আমি এখনো পাইনি। আমি প্রথমে জানতে চেয়েছি রেজিস্ট্রার্ড ফোন কত, তারপরে জানতে চেয়েছি ইউজার নাম্বার কত, তারপর আমি বলতে পারবো এই সংখ্যাটি কত।
গ্রে মার্কেটে অনেক কম দামে ফোন পাচ্ছি, দেশীয় অ্যাসেম্বলিং কোম্পানিগুলো ট্যাক্সের সুযোগ রেখেও বেশি দাম রাখছে, এ বিষয়ে পলক বলেন, আমাদের যে ১৭টি অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট তারা কিন্তু আমাকে ইস্যুগুলো বলেছেন, এরপর কিন্তু আমি জানতে পেরেছি এবং কাজ শুরু করেছি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছে অনিবন্ধিত ফোন যাতে গ্রে মার্কেটে না আসে, চোরাই পথে না আসে, স্মাগলিং হয়ে না আসে। আমরা চেষ্টা করছি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের স্থানীয় শিল্পের প্রটেকশন দেওয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে।
তাতে আমাদের দেশে উৎপাদিত ফেনের দাম কমে আসবে, প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ। কমে আসবে। আমরা যখন এটা প্রটেক্ট করতে পারবো তখন আমরা প্রেসার ক্রিয়েট করতে পারবো যে ৩০ শতাংশের জায়গায় যেন ৫০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করে। তখনই তো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে উঠবে। আমরা যেভাবে দেখেছি কোরিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড গড়ে উঠেছে, একইভাবে আমাদের বাংলাদেশেও সেভাবে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং ইকো সিস্টেম গড়ে উঠবে।