প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ১০:১০ অপরাহ্ণ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাঁশখালী উপজেলার চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর-বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাঁশখালী উপজেলার চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর-বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।। অবৈধ ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১০ নম্বর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নুরীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ গত বৃহস্পতিবার মামলা দুটি রেকর্ড হলেও রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সেগুলো আদালতে পাঠানো হয়। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। এরমধ্যে একটি মামলায় মুজিবুল হক চৌধুরীকে এবং অন্যটিতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই আসামি করা হয়েছে। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম মামলার বিষয়টি নগর সংবাদ কে নিশ্চিত করেন। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালে মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাথমিকভাবে এ দম্পতির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। পরে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে সংস্থাটি। পরবর্তীসময়ে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকার জ্ঞায় আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এ পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে মুজিবুল হক চৌধুরীকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, একই সময়ে মুজিবুল হকের স্ত্রী সাহেদা বেগম নুরীর বিরুদ্ধেও সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। সাহেদার জমা করা সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় সংস্থাটি। অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, সাহেদার নামে এসব সম্পদ মূলত তার স্বামী মুজিবুল হক চৌধুরীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত। এসব অর্থ দিয়ে স্ত্রীর নামে সম্পদও কিনেছেন বলে জানতে পারে দুদক। এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সহযোগিতার অভিযোগে সাহেদাকে প্রধান আসামি করে পৃথক মামলা করা হয়। মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের সহযোগী উল্লেখ করে মুজিবুল হক চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। মামলায় দুদক আইনের ২৭(১) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধবিরোধী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেন মুজিবুল হক চৌধুরী। তার ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন তিনি।
Copyright © 2024 নগর সংবাদ. All rights reserved.