অবৈধভাবে শিশুখাদ্য উৎপাদনের অভিযোগে কুমিল্লার লাকসাম দৌলতগঞ্জ পুরাতন বাজারে এস এস অটো ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালাসহ মালিককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় কারখানার সব নকল টেস্টি ম্যাঙ্গো, সফট ড্রিংক পাউডার জব্দ করে তৎক্ষণাৎ বিনষ্ট করা হয় এবং ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও কারখানাটি সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে কারখানা মালিককে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারখানা থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।
লাকসাম উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম রতন। তিনি পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসএস অটো ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজ হিসেবে পরিচালনা করে আসছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে তিনি বিভিন্ন নামে অন্তত ২২ ধরনের ভেজাল খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছেন। অনুমোদন ছাড়াই এগুলো বাজারজাত করছেন তিনি। শুধু পানি, চিনি আর কেমিক্যাল দিয়েই তৈরি হচ্ছিল এস খাদ্য। বুধবার গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে যৌথভাবে সেনাবাহিনীর ও উপজেলা প্রশাসন ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ জানান, লাকসামে এস এস অটো ওয়ার্কশপের মালিক তার প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অন্তত ২২ ধরনের ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করে আসছেন। এর বেশির ভাগই শিশুখাদ্য। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইস ললি, আইস পপ, অরেঞ্জ ড্রিংকস, লিচি ড্রিংকস, মিল্ক ক্যান্ডি, ম্যাংগো ক্যান্ডি, ডেইরি মিল্কসহ বিভিন্ন ধরনের জুস। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই এবং ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদন করায় এস এস অটো ওয়ার্কশপের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।