ঢাকা প্রতিনিধি।।
অভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্যের অভিযোগ তুলে কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদও জানান। তবে তারা আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার রাতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তারা।
এর আগে বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়। সেখানে বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটিকেও বিক্ষোভ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেসরকারি ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাঈম আবেদীনকে সিনিয়র সংগঠক করা হয়েছে। তাকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির তারা যে মব করেছে, তারা আবার নিজেরা কমিটি করেছে। এই কমিটি আমরা মানি না। যারা এমন বৈষম্য করে, তাদের সঙ্গে আমরা থাকবো না।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শাহেল শেখ সেলিম বলেন, মধুর ক্যান্টিনে যা হইছে অভ্যুত্থানের পরে বড় ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হবে না। যারা যারা প্রাইভেটের নাম ধরে ডিউর কাছে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি করেন, আমরা কঠোরভাবে বলি আমরা তাদেরকেও অবাঞ্ছিত করব। আমরা রাজুতে শাহবাগ যাচ্ছি না। আপনারা বসুন্ধরা আসেন, উত্তরা বিএনএস যাত্রাবাড়ীর বিপ্লবীদের বাদ দিয়ে কমিটি আমরা মানি না, এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, হামলার ব্যাপারে তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তারা যদি বাংলাদেশে সর্বজনীন দল গঠন করে, সংস্কার চায়-দেশে পরিবর্তন চায়, লেজুড়বৃত্তিক দল থেকে মুক্তি চায় তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বসতে হবে। তারা যদি ঐক্য ভঙ্গ করে তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে বিপ্লব শেষ হয়নি। সর্বজনীন দল করতে চাইলে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিশ্চিত করে সবাইকে সমান অধিকার দিয়ে তারপর সার্বজনীন রাজনীতিতে নামতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ‘ঢাবির দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, দালালের কালো হাত গুড়িয়ে দাও, ঢাবির কালো হাত জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’—ইত্যাদি স্লোগান দেন।