শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মগবাজার ও ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারি বিভাগের একটি টিম।
জিএম শাখাওয়াত হোসেন রাজধানীর মতিঝিল এলাকার একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে অফিসের একটি কাজে রিকশায় করে ওয়ারি থানার র্যাঙ্কিন স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছিলেন।
এমন ভাবে সালাম দিয়ে ভরদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। পরে মামলার ছায়া তদন্তে নেমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারি বিভাগ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের হোতা সজল সিদ্দিক (৪৭), আবুল হোসেন (৪৭), রফিকুল ইসলাম সবুজ (২৬), মো. আরেফিন (৪৩), মো. আমির আলী (৫৫), মোমিন প্রামাণিক (৫৬) ও মো. শাহিন (৩২)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিকশা দিয়ে ওয়ারী এলাকায় যাওয়ার সময়ে সালাম দিয়ে গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওয়ারীর ঘটনার পরেও চক্রটি ধারাবাহিকভাবে একইভাবে ছিনতাই করে আসছিল। ছিনতাই করা অবস্থায় চক্রের ৩ জনকে মগবাজার থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, সালাম দিয়ে ছিনতাই করা এ চক্রে ৮ জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সালাম দিয়ে ছিনতাই করে আসছিলো। চক্রের হোতা সজলের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯ মামলা, আবুলের বিরুদ্ধে ৮টি, সবুজের বিরুদ্ধে ৭টি, আরেফিনের বিরুদ্ধে ৫টি ছিনতাই মামলা ও আমির আলীর বিরুদ্ধে ৩টি ছিনতাই মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার ‘সালাম’ পার্টির সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা প্রতিমাসে ১৫-১৬টি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটাতেন।
তিনি বলেন, ওয়ারী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ৭ জনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।