তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নে আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয় এ বাংলাদেশে হবে। চতুর্থবারের মতো এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।তিনি এসময় আরো বলেন,বিএনপি আবার অগ্নিসন্ত্রাসের বার্তা দিচ্ছে। গতকাল জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশ করেছে। সমাবেশ করে ঘোষনা দিয়েছে আগামী নির্বাচনকে প্রতিহত করবে। এ ঘোষনাটা বিএনপি জামায়াতকে দিয়ে দিয়েছে। এর মানে হচ্ছে আবার অগ্নি সন্ত্রাস নৈরাজ্য তারা শুরু করবে। এটিরই ইঙ্গিত মিটিং ডেকে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে চায়। বিশৃঙ্খলা তৈরী করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করতে চায়। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তারা জানে নির্বাচনে তাদের সম্ভবনা নাই। সেটি জেনেই তারা নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে, প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেটি এবার তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। রোববার (১১ জুন) সন্ধ্যায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে এবং আওয়ামীলীগের মাননীয় সভাপতি আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন সেই কারনে আমি বলতে চাচ্ছি যারা নির্বাচন প্রতিহত করা ঘোষনা দিবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এধরনের ঘোষনা দিচ্ছে। ১০ বছর সমাবেশ করে নাই, ১০ বছর পরে যে আস্ফালন তারা করেছে। এরাই পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছিল বাইতুল মোকারমে, এরাই বিশ্ব এজতেমা ফেরত মুসল্লীকে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এরাই সমগ্র বাংলাদেশে সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছেন। পাঁচশজন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, এরাই স্কুল ফেরত বালকের উপর হামলা চালিয়েছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সুতরাং এদেরকে আবার মাঠ দখল করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগে ঐক্য সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে, আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগকে হারানোর শক্তি এদেশে কারও নেই। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উত্তর বঙ্গের কোনো কোনো জায়গায় জামায়াতে ইসলামের কিছু কিছু ছোট ছোট ঘাটি আছে। কোনো কোনো জায়গায় বিএনপিও ঘাপটি মেরে বসে আছে। মির্জা ফখরুল সাহেবের বাড়িও তো এখানে উত্তরবঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ে বেশি দুর তো না এখান থেকে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আপনাদের উত্তরবঙ্গেরই মানুষ সুতরাং তিনি যেভাবে আজকে আস্ফালন করছে, যে ভাষায় কথা বলছে এটি আবার অগ্নি সন্ত্রাসের বার্তা তার মুখ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি। নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা আভাস তিনি দিচ্ছেন। তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না, দিতে আমরা পারি না। হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নেতাকর্মীদের আরও বেগবান ও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল হকসহ জেলার ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।