আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে শেখ পরিবারের জমিদারি মনে করতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রকৃত স্বৈরাচার পার্শ্ববর্তী দেশে আছেন, তিনি বলছেন তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এটি হচ্ছে এক ধরনের হারানোর বেদনা থেকে। বাংলাদেশটাকে তারা একটা শেখ পরিবারের একটি জমিদারি মনে করতেন। এভাবেই ১৫-১৬ বছর শেখ হাসিনা দেশ চালিয়েছে। যে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে, তাকে অদৃশ্য করে দেওয়া হয়েছে। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে এসে শেখ হাসিনা আর কত লোক গুম করবেন, আর কত মানুষকে বিচার বর্হিভূত হত্যা করবেন। তার কোনো হিসাব হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের জন্য ৬০ কাঠা জায়গা। আপনাদের এত জায়গা, আপনাদের এত বাড়িঘর চারদিকে। আজকে আবার দেখলাম অসহায় মানুষদের জন্য যে জায়গাটি বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, সেখানেও কয়েকটি প্লট হচ্ছে শেখ পরিবারের। যারা মিসকিনের জায়গা আত্মসাৎ করে, তিনি কিসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গোটা দেশের মানুষকে ঋণে জর্জরিত করেছেন শেখ হাসিনা। ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাক ১৫-১৬ বছরে ঋণ নিয়েছেন, এর মধ্যে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। এটা আমার নয়, দেশের পরিচিত গণমাধ্যমের পরিসংখ্যান। অর্থাৎ ১৫ বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছেন, যার মধ্যেও যে কত দুর্নীতি হয়েছে তার শেষ নেই। অর্থাৎ উন্নয়নের ফানুস ছিল লুটের, হরিলুটের, উন্নয়নের ঝাড়বাতি ছিল টাকা পাচার করার। আর আপনি বলেন যে, আপনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।