জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আওয়ামী লীগের এক এমপি বিএনপির কথা বলতে গিয়ে এরশাদ সাহেবকে স্বৈরাচার বলেছেন। যার লাগি করলাম চুরি সেই যদি বলে চোর, তাহলে কোথায় যাই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এতো খাতির করলাম। তিন, চার বার জোট করলাম। নির্বাচন করলাম ক্ষমতায় আনলাম, আসলাম। আর সেই আ.লীগের ভাইয়ের যদি জিয়াউর রহমানের গালি দিয়ে গিয়ে এরশাদকেও দেন, তাহলে আর যাই কোথায়? তাহলে তো নতুন করে ভাবতে হবে। কী করবো, কোথায় যাবো।
এসময় আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, কী, ভালো লাগে না? লাগবে। সময় আসতেছে, চিন্তা কইরেন না।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন ঢাকায় যার ফ্ল্যাট প্লট আছে সে কালো টাকার মালিক। আমি ৫ বার এমপি, তিন বার মন্ত্রী। আমার ঢাকায় কোনও বাড়ি নাই। ২০১১ সালে আমি পূর্বাচলে প্লট পেয়েছিলাম। তার মানে অর্থমন্ত্রীর নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, আমি কালো টাকার মালিক হয়ে গেছি।
স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় যারা আছি আপনি, রাষ্ট্রপতি, আমি সবাই কালো টাকার মালিক। তবে আমি আইন লঙ্ঘন করে কালো টাকার মালিকে হয়েছি কিনা, সংসদে এর ব্যাখ্যা চাই।
পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিলে পাচারকৃত অর্থ বৈধ হয়ে যাবে। ৪০ বছর যাবত সব সরকার (আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু কালো টাকা সাদা হয়েছে কম। আমি যখন ব্যবসা করি, ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। তাহলে বিদেশে টাকা পাঠিয়ে ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে হালাল করবো। এটা মানি লন্ডারিং আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইন সংশোধন করা না হলে এটা বাস্তবায়নের কোনও সুযোগ নেই। কীভাবে বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা আনবেন। আইন সংশোধন না হলে এই আইন বাস্তবায়ন হবে না। এই সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বেআইনি, অনৈতিক। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, টাকা বিদেশে যায় সুখের জন্য। তাহলে যারা বিদেশে টাকা সুখের জন্য নিয়েছে এসব কি দেশে ফিরিয়ে আনবেন? এই টাকা কি ফিরিয়ে আনতে পারবেন? আনলেও কিছু আনবেন। এতে দেখা যাবে, ভবিষ্যতে এই সুযোগ নিয়ে অনেকে টাকা পাচার করছে।
তিনি বলেন, সিগারেটের উপর আমরা ট্যাক্স বাড়াতে বলি। জনগণ চায় ১০০ ভাগ ট্যাক্স বাড়ানো হোক সিগারেটে। ট্যাক্স বাড়ান না, তামাকের উপর ট্যাক্স বাড়ান; সিগারেটের উপর বাড়ান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।