আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবাসী ভালো করেই জানেন বহুমাত্রিক সংকটে পর্যুদস্ত বিএনপি এখন জনগণের লালকার্ড খেয়ে রাজনীতির মাঠে বাউন্ডারির বাইরে অবস্থান করছে। লাগাতার ভুল-রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি ক্রমেই দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হচ্ছে।’
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারের নিন্দা জানাতইে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
‘তারেক রহমান বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পথ প্রদর্শক’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের খুনি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান না কি তাদের তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পথ প্রদর্শক! এর মধ্যদিয়েই প্রমাণিত হয় বিএনপি নীতি ও আদর্শের রাজনীতির পথে না চলে অন্ধকারের কানাগলিতে অপরাজনীতির কূটকৌশলকে বেছে নিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বিএনপি।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব অর্থনীতি ধ্বংসের কথা বলেছেন। কিছু দিন আগে তিনি ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ বলে মন্তব্য করেছেন। আজ তাদের সেই পেয়ারের পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা কী? আর তার বিপরীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগগ্রতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুবর্ণধারা রচনা করেছিল ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি সেই অগ্রগতির ধারাকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বিএনপির কথা বলা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মন্দা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামের মনোবেদনা আমরা বুঝি, বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া না হওয়ায় তাদের সুপ্ত-বাসনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে বিভোর বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা সব দুর্যোগে ও সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থেকেছে। অন্যদিকে, বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত থেকেছে। জনদুর্ভোগকে ঘনীভূত করেছে।