আজ উনিশে নভেম্বর রবিবার,, সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বাবুঘাট থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে ছট পুজো, ,, বাঙ্গালীদের যেমন বড় উৎসব দুর্গাপুজো ,,, তেমনি বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের এই ছট পুজো হলো শ্রেষ্ঠ পুজো,,, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই পুজোটির জন্য এবং. এবং অনেকে মানত করেও থাকেন এই ছট পুজোতে,,. আর আজকের দিনে তারা সেই মানত শোধ করতে নদীবক্ষে আসেন,, ঘাটে বিভিন্ন রকম উপকরণ দিয়ে গঙ্গা মাকে পূজো করে ,,তারা বাঙ্গালীদের মতো জলে নেমে তর্পণ সারেন,,
, আর ছট পুজো মানেই বিশেষ উপকরণ হলো কলার কাঁদি,, জানা গেল এটি না হলে কখনোই পুজো সম্পূর্ণ হয় না। দূর-দূরান্ত থেকে মহিলারা এমনকি পুরুষেরাও বাদ্যি বাজনা বাজিয়ে প্রশেসনের মধ্য দিয়ে ঘাটে আসেন, গঙ্গামাকে পুজো দিতে, আজ বিভিন্ন ঘাটে বিভিন্ন মন্ত্রীরা এই পুজোর শুভ সূচনা করেন।
একদিকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি তিনি যেমন বিকেল চারটায় এই পূজার শুভ সূচনা করেন, অন্যদিকে মাননীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়িকা নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুঘাটে এসে এই পুজোর সূচনা করেন এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানান, এবং সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সবার উৎসব করার চেষ্টা করেন।
, এবং এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও করেন।,, যিনি প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন এবং মানুষের সাথে পাশে থাকার চেষ্টা করেন,,
শুধু মন্ত্রী রায় এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা নয় বিভিন্ন সংস্থা তারা ওই ছট পুজোয় এগিয়ে এসেছেন সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন মঞ্চ করে তারা বারবার সকলের উদ্দেশ্যে জানান এবং পরিসেবা দেওয়ার কথা বলেন,
জল ডাক্তার ঔষধ সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা তারাও রেখেছেন এবং বারবার ঘোষণা করছেন যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাদের এই কার্যালয়ে এসে তারা দেখিয়ে যেতে পারেন আমরা আপনাদের পাশে আছি,, এর সাথে সাথে কে এম সি থেকে প্রশাসনের অফিসার কর্মীরা হিমশিম খেতে থাকেন,, যত সন্ধ্যে হয়ে আছে
,,তত উপচে পড়ে ভিড় ঘাটে ঘাটে ,,এমনকি গঙ্গার ঘাটে,, কিছুটা দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন,,, যাতে কোনোভাবে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে এবং সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছেন । এমনকি ডুবুরি দাও মাঝে মাঝে পরিদর্শন করছেন,, পুজো দিতে আসা পরিবারেরা জানালেন আমাদের কাছে এই পুজোটি হলো সবচাইতে মঙ্গলময় পুজো,,, আমরা যা চাই আমাদেরকে পূরণ করেন মা গঙ্গা,, এবং আমরা যে সিদুরটি পড়ি সেই সিঁদুরটিও অতি মূল্যবান,, , যা শুধু আমরাই এই সিদুটি ব্যবহার করি,, এবং আমরা মায়ের কাছে বিভিন্ন রকম মানত করে থাকি,