আজ হিরোসিমা দিবসে অবস্থান ও মিছিল করলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়
আজ ৬ই আগস্ট রবিবার, বিকেল চারটেয়, ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেল থেকে মার্কিন প্রচার দপ্তর পর্যন্ত ,হিরোসিমা দিবসে, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ মিছিলের আয়োজন করেন, কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায়, তারা মেট্রো চ্যানেলে সামনেই অবস্থান করলেন, প্রচারের মধ্য দিয়ে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের বিষয়গুলি তুলে ধরলেন এবং তার সাথে সাথে কয়েকটি ক্যাপশন তারা মানুষের সামনে তুললেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ জানালেন, ,,, বিজ্ঞান আশীর্বাদ অভিশাপ নয়, ,,, যুদ্ধ পরিবেশকে ধ্বংস করে,,,, পারমাণবিক শক্তি সভ্যতা ধ্বংসের কাজে নয়,,,, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই,,,,
মৌলবাদ ও সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান,,,, দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বন্ধ হোক,,,,, আর নয় হিরোসিমা। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন ,,,জাপানে হিরোসিমা শহরে চারটে ১৫ মিনিটে বোমা ফেলা হয়েছিল ,বিজ্ঞানীদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে, হাইডেনবার্গ ও অটো বার্গের সাথে কি কথা হয়েছিল সমস্ত রেকর্ড রয়েছে।। এতদিন সেগুলি গোপন ছিল কিছুদিন আগে সেগুলি প্রকাশ্যে আসে, তিনি বলেন হাইডেনবার্গ বা জার্মান বিজ্ঞানীরা পরমাণু তৈরি করেননি, হাইডেনবার্গ বলেছেন তিনিতো জার্মানি ছেড়ে যাননি তাকে, অনেক বিজ্ঞানী বলেছিলেন আপনি কেন আমেরিকা চলে যেতে চাননি, তখন তিনি তার উত্তরে বলেন আমি যদি আমেরিকা চলে যায় তাহলে সমস্ত কিছু হিটলারের হাতে চলে যাবে, এবং একটি ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে ,তাই আমি নিজের দায়িত্বে সেটি নিয়ে নিই আর আমি যদি আমেরিকায় চলে যাই জার্মানিতে পরমাণু তৈরির দায়িত্ব পাবে মিলিটারি, আর যদি মিলিটারির হাতে চলে যায় ,হিটলারের কাছে পৌছাবে , আমি ইচ্ছে করে নিজের দায়িত্বের সমস্ত কিছু নিয়েছিলাম, ওদের হাতে তুলতে দিইনি, আর আপনারা জানেন যিনি লক্ষ লক্ষ ইহুদিকে খুন করেছেন তিনি হলেন একজন হিললার অন্যজন মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিরোশিমায়মানুষকে খুন করেছেন নাগাসাকিতে খুন করেছেন, আইনস্টাইন নিজে একজন ইহুদি ছিলেন, তিনিও আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। বিজ্ঞানকে দোষী সাব্যস্ত করলেও ,বিজ্ঞান দোষী নয় ,কারণ জার্মানির হাতে বোমা তৈরি হয়নি বলে জানান। আপনারা জানেন জার্মানিরা যখন হেরে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে বিনা কারণে দশজন জার্মান বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করেছিল, তাহার মধ্যে ছিল তিনজন নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী, তাদেরকে গ্রেফতার করে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সেখানে একটি ঘরে তাদের রাখা হয় ,যে ঘরটির নাম FRAM HALL,, এবং সেই ঘরের দেওয়ালে বিভিন্নভাবে সাউন্ড রেকর্ডিং এর সিস্টেম রাখা হয়েছিল যাতে কেউ কারো সাথে কথা বললে সমস্ত রেকর্ড করা হয়ে থাকতো, এইভাবে বিজ্ঞানীদের উপর অত্যাচার চলতো। তাই আমরা বলব, আর নয় হিংসা, আর নয় যুদ্ধ ,শান্তি চাই।