শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৬তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আমরা স্বাধীনতার চেতনা ধূলিসাৎ করার চেষ্টা দেখেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কোনো এজাহার দায়ের করা হয়নি। অথচ কোনো হত্যাকাণ্ড অথবা অপরাধ হলে এজাহার হয়। কিন্তু তখন আঠারো জনকে হত্যা করা হলেও কোনো মামলা হয়নি।
আনিসুল হক বলেন, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আমাদের সংবিধানে দেওয়া আছে। কোনো আইন দ্বারা এ স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এই যে আইনের শাসনের ধূলিসাৎ করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা এ জায়গায় এসেছি। আমাদের এটি ধরে রাখতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা দলমত নির্বিশেষে ধরে রাখতে হবে।
এ সময় আইন সমিতির সদস্যদের মাধ্যমে আইনের শাসন আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আফজাল উল-মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, সম্মেলনের আহ্বায়ক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার ও আইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী।