বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি লালন হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোনারগাঁ উপজেলার ভাদুরী কান্দা এলাকার বাসিন্দা আ. আউয়াল গত ২৮ বছর যাবত আড়াইহাজার উপজেলার ইদবারদী গ্রামের শুক্কুর আলীর টেক্সাইল মিলে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে আসছেন। গত ২ আগস্ট কারখানার বাইরে বেঞ্চে বসা নিয়ে ওই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে লালন হোসেন ও ছব্বত আলীর ছেলে আ. জলিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তার।
এর জের ধরে ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারখানার পার্টস মেরামত করে ফেরার পথে লালন ও আ. জলিল তার গতিরোধ করেন। পরে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন।
এ সময় আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভুলতা পিকেএমসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু সেখানে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে প্রথমে রাজধানীর শ্যামলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।