বৃহস্পতিবার (৬ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের ২৩ মে রাত ৮টার দিকে আব্দুল বাতেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ৫২ লাখ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকের একাধিক চেক নিয়ে তার মেয়ের জামাই রানা আহম্মেদসহ তার মালিকানাধীন প্রাইভেটকার চালক নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা করার সময় রাত পৌনে ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপ্তারা পাকা রাস্তার পাল্লা কবরস্থান সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ব্যক্তি তাদের প্রাইভেটকারটি সংকেত দিয়ে পথরোধ করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের শরীরে র্যাবের ব্যবহৃত পোশাক ও কোটি এবং হাতে অস্ত্র, লাঠি, হ্যান্ডকাফ ও সিগন্যাল লাইট ছিল। এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন ভয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে। বাদীর মেয়ের জামাই ও ড্রাইভার সুমনকে প্রাইভেটকার থেকে নিচে নামিয়ে স্কচটেপ দিয়ে মুখ আটকিয়ে রাখে। তারপর বাদী আব্দুল বাতেনের কাছে থাকা ৫২ লাখ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকের একাধিক চেক, ৪টি মোবাইলফোন জোর করে ছিনিয়ে নেয়। অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালানোর সময় বাদীর মেয়ের জামাই ‘৯৯৯’ এ কল দেয়। আড়াইহাজার থানা পুলিশ ‘৯৯৯’ এর কল পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই প্রাইভেটকারটির পিছু নিলে অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রাইভেটকার রেখে লুষ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে গত ২৫ মে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিএমপি ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের দেখানো মতে ১টি সিলভার রঙের প্রাইভেটকার, ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, ৩টি কালো রঙের র্যাবের কটি, ১টি সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙের কাঁধের ব্যাগ, ১টি লেজার লাইট, ১টি কালো রঙের খেলনা রিভলবার, ১ জোড়া হ্যান্ডকাপ ও ২টি কালো রঙের মাথার ক্যাপ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রায় সময়ই ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও পূর্বাচল তিনশ ফিট মহাসড়কে ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ভুয়া আইন-শৃঙ্খলা পরিচয়ে দস্যুতা ও ছিনতাই সংক্রান্তে আসামি ইকবালের বিরুদ্ধে ৮টি, মেহেদীর বিরুদ্ধে ৪টি, শামীমের বিরুদ্ধে ৪টি ও হাফিজের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। ওই ঘটনায় মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।