বৃহস্পতিবার বোম্বে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। গত ৩ অক্টোবর মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন ২৩ বছরের আরিয়ান।
মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে এক মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আরিয়ান।
সেখানে দাবি করা হয়, মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করেন আরিয়ান। তিনি বলেন, মাদক নিয়ে ভুল করেছেন। এও বলেন, এর আগে কখনো এমন কিছু করেননি তিনি।
আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধর্মেচা, ইশমিত সিংহ, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রম ছোকার এবং গোমিত চোপড়াকে।
৪ অক্টোবর আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। শাহরুখই তার ছেলের জন্য মুম্বাইয়ের প্রভাবশালী এই আইনজীবীকে নিয়োগ দেন।
কিন্তু মুম্বাইয়ের আদালত জানিয়ে দেন, আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে এনসিবির হেফাজতে থাকতে হবে। এরপর ৭ অক্টোবর আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখের আইনজীবী আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। মুক্তি মেলে না আরিয়ানের। তার দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
গত ২০ অক্টোবরও আরিয়ানের জামিন মেলে না। এরপর ছেলের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন শাহরুখ খান। উচ্চ আদালত ২৬ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে ২৬ অক্টোবরও তার জামিন দেননি বোম্বে হাইকোর্ট। তবে ওই দিন অপর দুই অভিযুক্ত অভিন শাহু ও মনীশ রাজগড়িয়ার জামিন মেলে।
অবশেষে আজ আদালত আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করেন।