আজ ২২শে এপ্রিল সোমবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, রবীন্দ্র সদনের, জীবনানন্দ সাভাঘরে , সুনীল চক্রবর্তীর উদ্যোগে এবং আরামবাগ, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত, আন্তর্জাতিক সাহিত্য প্রকাশনা ও কবিতা উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হলো,
উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি , সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী এবং বাংলা ভাষার রূপকার , উপস্থিত ছিলেন রুমি আজনবী সংগীত প্রশিক্ষণ বাঁশরী বাংলাদেশ, সর্বানী চক্রবর্তী, সুদীপ চক্রবর্তী, কেতকী প্রসাদ রায়, কমল দিয়ে সিকদার, নীতিশ বিশ্বাস ,তাপস তুষার সহ অন্যান্যরা,
উপস্থিত ছিলেন জেলা থেকে আসা কবিরা যাদের কবিতায় ও গানে এই জীবনানন্দ সভাগুর মুখর হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠান শুরুর আগে, সকল অতিথিদের উত্তরীয় পুষ্পস্তবক এবং একটি করে মহর্ষিদের সহ স্মারক তুলে দেন, আর আজকের বিশেষ আলোচিত বিষয় ছিল তিন মহাপুরুষ কে নিয়ে, রাজা রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্যাসাগর,
যে তিনজন মহাপুরুষ বাঙ্গালীদের জন্য অনেক কিছু করে গিয়েছেন, যাদের লেখায় আজ বহু কবি তৈরি হয়েছে ,বহু শিল্পী তৈরি হয়েছে এবং বহু সাহিত্যিক তৈরি হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কবি সাহিত্যিক ও শিল্পী তৈরি হচ্ছে। একটা কথা না বলে থাকা যায় না, যাহারা বাংলা ভাষার সৃষ্টি করলেন, যাদের কবিতায় গানে বাংলা ভাষা উঠে এসেছে, যাহারা নারীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, মহাপুরুষদের আমরা ভুলে যাই।
তাই আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা তিন মহাপুরুষ কে বেছে নিয়েছি এবং যে সকল স্মারক আমরা অতিথীদের হাতে তুলে দিয়েছি, সেই স্মারকের মধ্যে তাদের জন্ম ও মৃত্যু উল্লেখ করেছি ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায়।
যাতে এখনকার দিনের কবিরা এবং নতুন প্রজন্ম এই সকল মহাপুরুষদের কথা স্মরণ করতে পারেন ,তাদের জন্ম ও মৃত্যু দিনটা অন্তত মনে রাখতে পারেন ,আজকের এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়।শুধু তাই নয় আজকের অনুষ্ঠানে কয়েকটি বইয়ের শুভ সূচনা করলেন
আর সাথী যে সকল কবি ও শিল্পীরা জীবনানন্দ ঘরকে কবিতায় ও গানে ভরিয়ে তুলেছিলেন, তাহাদের হাতেও এই মহাপুরুষদের স্মারক তুলে সম্মানিত করেন। অনুষ্ঠানের কর্ণধার সুনীল চক্রবর্তী মহাশয় বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, এই সকল মহাপুরুষের কিছু স্মরণীয় ঘটনা তুলে ধরার, এবং চেষ্টা করেছি তাদেরকে নিয়ে, তাহাদের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে চলার,
আর একটা কথা বলব, যাহাদের সহযোগিতা ছাড়া এইরকম অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়, তাহারা হলেন উপস্থিত যে সকল কবি শিল্পী ও সাহিত্যিকরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাহাদের সহযোগিতায় আমি বই প্রকাশনা থেকে শুরু করে ,এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়েছি, অন্যান্য জেলাতে গিয়েও করার চেষ্টা করেছি, তাই সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।