আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার , ঠিক দুপুর দুটায় , সারা বাংলা সংখ্যালঘু কাউন্সিলের পরিচালনায় এবং মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এর উদ্যোগে , একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের কনফারেন্স রুমে পালিত হল, আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবস এবং সংখ্যালঘু যুব কনভেনশন । এই অনুষ্ঠান চলে দুপুর দুটো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জুম্মান সাহেব রাজ্য সম্পাদক,
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুরঞ্জন মিদ্দে, পীযূষ গায়েন, ড: সজল বিশ্বাস, সুকৃতি রঞ্জন মহাশয়, গোলাম রহমান সালামুদ্দিন সাহেব, কাসিম সাহেব, আনোয়ার সাহেব সহ অন্যান্যরা, আজকের এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল ,সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন ও নির্যাতন বেড়ে চলেছে তাহার প্রতিবাদ ও রক্ষা করা, আন্দোলনকে তীব্র করা, যেভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হেনস্তা করা হচ্ছে, তাদেরকে সমস্ত অধিকার থেকে যেভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাহার প্রতিবাদ করা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী যিনি দেশকে স্বচ্ছতার রূপ দিতে চেয়েছেন , স্বচ্ছতার নামে সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা করা হচ্ছে।
অথচ তিনি মুখে বলছেন সব কে সাথ ,সব কে বিকাশ, মানুষের মনে ভুল ভ্রান্তি ঢুকানো হচ্ছে, এমনকি অন্য কোন রাজ্যের মত এ রাজ্যে ছেলে মেয়েরাও বঞ্চিত হচ্ছেন বিভিন্ন তাদের অধিকার থেকে ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে স্কলারশিপ থেকে, সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছেন এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত রাখেননি, অন্যান্য রাজ্যেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে সেখানেও তাদের স্বাধীনতার রয়েছে এবং মন্ত্রিত্ব রয়েছে কিন্তু ভারতে যিনি রয়েছেন তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ঘৃণ্য চোখে দেখছেন। অন্যান্য রাজ্য থেকে ভারতে অনেক বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের মুসলিম সম্প্রদায়িক মানুষের অধিকারটুকু দিচ্ছেন না, ডক্টর বি আর আম্বেদকরের সংবিধান কে পর্যন্ত নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি যে দলিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আইন করে গিয়েছেন, সেই আইনকে তিনি বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন। এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের যে স্কুল কলেজ রয়েছে, সেগুলোর কেউ তিনি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আমরা এটা বেশিদিন হতে দেব না, তাই এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকার আমরা ছিনিয়ে নেব। সামনেই ভোট আগামী ইলেকশনকে সামনে রেখেই আমাদের এই প্রতিবাদ, আর আজ আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবসে আমরা জোরদার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকার রক্ষা করব। সবাই একত্রিতভাবে প্রতিবাদের পথে যাব, দেখবো কতদিন মুসলিম সম্প্রদায়কে দূরে ঠেলে দিতে পারে।