১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বাঙলির জাতির ওপর যে গণহত্যা চালায় তাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির দাবি জোরালো করতে স্বাধীনতা পক্ষের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে এই দাবি আদায়ে স্বাধীনতার পক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সাহস নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি এনেছেন। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায় করা। এই স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলের দাবি জোরালো করা দায়িত্ব। এই দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে কোনো রাজনৈতিক দল একটা কথা বলে না। মনে হয় যেন সব দায় আওয়ামী লীগের।
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক বলেন, এটা নিয়ে অন্য কোনো সরকার কথা বলেনি। অনেক দিন হয়ে গেছে, এটি নিয়ে একদিন কথা বললে, চেঁচামেচি করলে লাভ হবে না। জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। জাতিসংঘে এজেন্ডা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের লেগে থাকতে হবে। ইতিহাসের অনেক হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।
তিনি বলেন, পকিস্তান আজ পর্যন্ত ৭১-এর গণহত্যা নিয়ে দুঃখ পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। তাদের দেশের নাগরিকদের আমাদের উপর চাপিয়ে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি, আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। পাকিস্তানের কাছ থেকে এগুলো আদায় করে নিতে হবে। শুধু আমাদের পার্টি একটি সমাবেশ করলে হবে না, দাবিগুলোকে জোরালো করতে হবে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব, কারণ তার সেই সাহস রয়েছে।
ঢাকা: মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পদাক হুমায়ুন কবীর, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
এ সময় মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি আমরা পাইনি কারণ ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই ইতিহাসকে মুছে ফেলা হয়েছিল। স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। যার ফলে আমরা এই স্বীকৃতি পাইনি।
স্মরণ সভায় নেতারা ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণতহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান। সঙ্গে এই দাবিকে তারা জোরালো করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।