পেশাগত গাড়িচালক ও হেলপারদের উদ্দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আপনারা যদি বিআরটিএতে কোনো অনিয়ম দেখেন, তাহলে আমাকে বলতে কার্পণ্য করবেন না। কারণ আমরা আপনাদের সেবা দিতে বাধ্য। এটা আমার কোনো ক্রেডিট নয়, এটা আমার দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পেশাগত গাড়িচালক ও হেলপারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচির আওতায় গ্রিন আমব্রেলা প্রকল্পের বাস্তবায়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঁচ লাখ করে ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘চালকদের জন্য আন্তর্জাতিকমানের ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ চালু করা হবে। প্রতি প্রশিক্ষণার্থীকে ১৮ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। চালকদের অবসর জীবনে পেনশন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতেও উদ্যোগ চলছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চালকদেরও প্রশিক্ষিত হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু প্রশিক্ষণ ও পোশাক নয়, এর মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। যাত্রী ও নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, গাড়ির ফিটনেস রক্ষা এবং দায়িত্বশীল ড্রাইভিং ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।’
‘আমি আপনাদের একজন খাদেম। আমি নিজেকে কখনও মনে করি না চেয়ারম্যান’ উল্লেখ করে আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় আমার বেতন হয়। এই দেশটা আমার। দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। শহীদ আনাসের চিঠি আমাকে প্রেরণা জোগায়। তিনি বলেছিলেন, ‘মা, সাত বছরের একটি ছেলে যদি রাস্তায় নেমে আসে, আমি কী করে বাসায় বসে থাকতে পারি?’। ১৬ বছরের একটি শিশু যদি সুন্দর একটা দেশ দেখানোর জন্য জীবনটা অকাতরে বিলিয়ে দিতে পারে, তাহলে আমার সার্বক্ষণিক এই এই দেশ গড়ে দেওয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ উপপরিচালক হেমায়েত উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।