আমার ধর্ম আমার বিশ্বাস করে যাবো শেষ নি:শ্বাস -মঈন চিশতী*
আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে ৭ দিনব্যাপী কদম রসুল দরগায় ফাতেহা ইয়াজদাহম বা ঈদে মীলাদুন্নবী স. উপলক্ষে বারোবাহাতের মেলা।মবের জন্য এইসব মেলার কার্যক্রম কিছুটা সীমিত থাকে। মবের ভয় হয়তো একদিন দরবারসমূহের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে হবে। তখন দরবার ওয়ালাদের কোন ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হবে এই দরবারগুলোকে কেন্দ্র করে যে সব মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হতো তাদের।এবার ঢাকার মিরপুর শাহ আলীর দরগাহ ভাদূরী পূর্ণিমার উরস নারায়ণগঞ্জের কদম রসুল ফাতেহা দোয়াজদহম উপলক্ষে বারো বাহাতের মেলা।দাউদকান্দি সংলগ্ন মতলবের বেলতলীতে বুড়ি ভাদূরীর মেলা এক সাথে হচ্ছে। এইসব মেলায় ট্রলার নৌকা বাসে করে হাজার হাজার মানুষ যায়,
এতে সাধারণ মানুষের রুটি রুজির পথ সুগম হয় এই বিষয়টি আমাদের নজরে রাখা দরকার।কিন্তু, মবিস্টরা তা খেয়াল করেনা। তারা নিজেদের লাভ নিয়ে ব্যস্ত। ৫ আগষ্ট ২৪ এর পর এমনও শোনা গেছে এইসব মেলার আয়ের একটা অংশ তাদের দিয়ে দিলে নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।দূরদর্শী কর্তৃপক্ষ তাদের কথায় সায় না দিয়ে মেলা বন্ধ রেখে তাদের নিয়মিত অজিফা তালিম তলকিন চালিয়েছে।আসলে প্রকৃত দরবারগুলো শোরগোল করে মেলা হোক বাজার জমুক তা চায় না। তারা তাদের তরিকত তাসাউফের কাজ করতে চায়।কিন্তু লোক সমাগম হলে স্থানীয়রা সেখানে নানা আয়োজন করে ফলে মেলায় রূপ নেয়।আর মেলা বাজারে হরেক রকম মানুষ আসবে এটাই স্বাভাবিক। এতে একটা দল নাখোশ হয়ে মবিষ্টদের কাজে লাগায় কিন্তু দু:খের বিষয় যারা এইসব মবের হোতা, তারা উরস মিলাদের বিরুদ্ধে যতোটা সোচ্চার সূদ ঘুষ ইত্যাদির ব্যাপারে ততোটা সোচ্চার নয়।সমাজে হিডেন আয়ে যারা চলে তারা তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আমরা চাই এই দেশকে আমরা সবাই মিলে স্বাধীন করেছি হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান মুচি মেথর ডোম চন্ডাল বারো জাতের মানুষের বসবাস এই বাংলা। এখানে যেসব অলি আউলিয়া সুফী মুবাল্লিগ সাধু সন্ত এসেছেন তারা সবাইকে নিয়ে মানবতার জয়গান গেয়েছেন কাউকে আঘাত নয় প্রেম দিয়ে মন জয় করে ধর্ম প্রচার করেছেন।সেই ঐতিহ্য ফিরে আসুক মত স্বাধীনতার বাংলায়।
* মঈন চিশতী ৯ রবি. আউয়াল ১৪৪৭ ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খানকাহ খাজেগান লালপুরী বাহাদুর মনযিল ১০২/৪, শহীদ ফারুক সড়ক, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।