শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চিত্রনায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিন কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলসহ এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মুহম্মদ এনামুল হক মিঠু, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসাইন।
এছাড়াও সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (হিরু), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবাইর বিন জিহাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের আজকের দিনে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই সুপারস্টার। তার প্রয়াণে ঢাকাই সিনেমায় যে ক্ষত তৈরি হয়, তা এই ১৬ বছরে কমেনি এক বিন্দু।
১৯৮৪ সালে তিনি ‘নতুন মুখের সন্ধানে’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন মান্না। এরপর থেকে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে শীর্ষ নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ২০০ এর অধিক সিনেমায় অভিনয় করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নব্বই দশকে অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারা শুরু হলে যে কজন প্রথমেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের মধ্যে নায়ক মান্না ছিলেন অন্যতম। রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন অশ্লীল চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে। এসব চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়ে ছিলেন। দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান প্রভৃতি চলচ্চিত্রে চমৎকার অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে গিয়েছিলেন মান্না। তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মান্না শুধু চলচ্চিত্র অভিনেতাই ছিলেন না, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো সিনেমা প্রযোজনা করেছেন, প্রতিটিই ব্যবসাসফল হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধু এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’ও পিতা মাতার আমানত। মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য অন্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘দাঙ্গা’, ‘দেশপ্রমিক’, ‘চিরঋনী’, ‘তেজী’, ‘কষ্ট’, ‘বীরসৈনিক’ প্রভৃতি।