বৃহস্পতিবার ৩১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৯:০৪
শিরোনামঃ
সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও কে সামনে রেখেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। গাজীপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ৯ অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস বিচ্ছিন্ন জাতীয় চিড়িয়াখানার অব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার দরকার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের বিষপানে আত্মহত্যা, মরদেহ উদ্ধার সৈকতে পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার নীলফামারীতে প্রাথমিক বৃত্তি পরিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে না দেয়ায় মানববন্ধন অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য কাজ করছি-প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী অস্ত্রবাজ সানমুন যৌথ বাহিনীর হাতে আটক দুর্ধর্ষ কিলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেলু পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে গ্রেফতার না হওয়ায় সাধারন মানুষ আতংকিত কলকাতার রয়েল ক্যালকাটা গলফ ক্লাবে 27 জুলাই ২০২৫ লটারি ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট এর অভিষেক অনুষ্ঠিত

আর জি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় কে, আজীবন কারাদণ্ড দিলেন-ভারতীয় আদালত।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি, ২১, ২০২৫, ২:৩১ পূর্বাহ্ণ
  • ৮৯ ০৯ বার দেখা হয়েছে

 

আর জি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় কে, লাইফ টাইম অর্থাৎ আজীবন কারাদণ্ড দিলেন।

“সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”” কলকাতা বু্রো”

২০ শে জানুয়ারী সোমবার, সকাল ১০ টা থেকেই কোর্ট চত্বরের বিভিন্ন দিকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অন্যান্য দলীয় কর্মীরা জমায়েত হতে থাকেন, সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুলিশি পাহাড়ায় সঞ্জয় রায় কে কোর্টে আনা হয়, এবং অভয়ার মা-বাবাও কোর্টে হাজির হন সময়মতো।

এবং কোর্ট চত্বরে চতুর্দিকে স্লোগান দিতে থাকেন, সঞ্জয় রায়ের যেন ফাঁসি হয়, কিন্তু অনেকের মনে ধারণা ছিল, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির অর্ডার হবে, দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে ০১:৪৫ পর্যন্ত আদালতে বিচারক সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শুনেন, এবং সঞ্জয় রায় জর্জ সাহেবের কাছে বারবার নির্দোষ বলে প্রমাণিত করতে চান, কিন্তু জর্জ সাহেব কি কথা বলেন আপনাকে এবং আপনার আইনজীবীকে অনেকবার সুযোগ দেয়া হয়েছে সত্য কথা বলার জন্য, জর্জ সাহেব কথা শোনার পর বানিয়ে দেন দুপুর ২.৪৫ সাজা ঘোষণা করা হবে,

তবে মৃত্যুদণ্ড না আজীবন কারাদণ্ড এই নিয়ে সংশয় ছিল, ঠিক দুপুর ২:৫০ নাগাদ আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে, লাইফ টাইম অর্থাৎ আজীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি অনির্বাণ দাস মহাশয়। এই ঘোষণা হওয়ার পরেই বেশ কয়েকজন আইনজীবী, আদালত চত্বরের গেটের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান, তাহারা বলেন এটা সাজানো-গোছানো, অঞ্জলি রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সমস্ত কিছু ধামাচাপা দিচ্ছে, প্রকৃত দোষীদের কোন কিছু হলো না, তাই আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের কাছেও বলতে চাই, আপনারা সঠিক খবর পেশ করুন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষও একটা কথাই বলছেন,

আর জি করে যে কান্ড ঘটে গেছে, এবং ডিউটিরত অবস্থায় যেভাবে চিকিৎসককে মারা হয়েছে, এটা কখনোই সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আসল দোষীদের শাস্তি দিতে হবে, সঠিক তদন্ত করতে হবে, এছাড়াও বলেন সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল, আজীবন কারাদণ্ড শুনে কিছুটা অবাক হয়েছেন অনেকেই। এদিকে প্রধান বিচারপতি সমস্ত রকম বিচার বিবেচনা করে এই সাজা ঘোষণা করেছেন। সকাল থেকেই সঞ্জয় রায় কে কোর্টের ভেতর নিয়ে যাওয়ার পরেই ,

কোর্টের চতুর্দিকে যখন সাধারণ মানুষের ভীড় জমতে থাকে, প্রশাসনের অফিসাররা তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেন, কোনরকম গন্ডগোল কোর্ট চত্বরের মধ্যে না হয়, ছাড়া কোর্ট চত্ত্বর ব্যারিকেট ও পুলিশি ব্যারিকেড এর মধ্যে আটকে রাখেন। সাথে সাথে বিভিন্ন আইনজীবীরা ও তাদের কথা ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিকদের সামনে, সাজা ঘোষণার পর সঞ্জয় রায় কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। যাহারা সাংবাদিকদের সামনে রায় ঘোষণা হওয়ার পর সমস্ত কিছু ব্যক্ত করেছেন,

তাহাদের মধ্যে ছিলেন পার্থ সারথী দত্ত, রাজদীপ হালদার, অমর্ত্য দে, সহ অন্যান্যরা। মহামান্য বিচারপতি সঞ্জয় রায় কে ৫০ লক্ষ টাকা ও আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছেন। মৃতের বাবা মাকে, কিন্তু মৃতের বাবা-মা একটা কথাই বলছেন আমার ক্ষতিপূরণ দরকার নাই, দোষীদের শাস্তি, কিন্তু আইন অনুযায়ী ডিউটিরত অবস্থায় মৃত্যু হওয়ায়, আদালতের তরফ থেকেই রায় দেন।

রায় ঘোষণা ও সাজা পাওয়ার পর, অভয়ার বাবা ও মাকে গাড়িতে করে কোরা পাহাড়ায় বাড়ি রওনা দেন। কিন্তু সাজা প্রাপ্ত সঞ্জয় রায় কে আদালত চত্বর থেকে কড়া পাহারায় প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ, কারণ বিভিন্ন রকম ফর্মালিটি পূরণ করা এবং প্রধান বিচারপতির সই সাবদ করার জন্যই এতটা সময় ব্যাহত হয়েছে।

তখনো সাধারণ মানুষের ভিড় এতোটুকু কমেনি, শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু করে আশপাশে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে এটুকু শোনা যায় , সঞ্জয় রায়ের মা আজ উপস্থিত হয়েছেন,

যিনি বারবার বলেছিলেন ওটা আমার ছেলে নয়, কিন্ত শেষ দেখার জন্য আজকে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা যায়। যিনি এত মাস ধরে একবারও ছেলেকে দেখতে আসেননি, তবে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর সাধারণ মানুষ কতটা মেনে নিতে পারবেন সেটাই দেখার।

“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”” কলকাতা বু্রো

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell