বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
‘বাংলাদেশে লিঙ্গ ও যৌন বৈচিত্র্যের সাংস্কৃতিক অভিভ্যক্তির ও পরম্পরার মৌলিক ইতিহাস’ শিরোনামে গবেষণার জন্য ২০২০-২১ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তামারা ইয়াসমীন তমা, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জামালপুর জেলার নারীদের হুমকি ও অভিযোজন যোগাযোগ’ শিরোনামে গবেষণার জন্য ২০২১-২২ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অর্থী নবনীতা ও ‘বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়ার অভিযোজন: পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে গবেষণার জন্য একই বর্ষের মো. নাসিমুল হুদাকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো গবেষণার জায়গা। শিক্ষার্থীরা এখানে জ্ঞান ব্যবস্থাপনার কাজ করবে। যদি সেটি না হয়, তাহলে এটি কোনোভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না, কলেজ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা গবেষণার পরিবেশ পরিবর্তন করার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের সময় তৎকালীন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে প্রত্যেক বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে পরামর্শ পাঠিয়েছিলাম, যাতে মাস্টার্স পর্যায়ে অন্তত ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী গবেষণা করে। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর খোঁজ নিয়ে জানলাম আমাদের ৯৬টি বিভাগ-ইনস্টিটিউটের মধ্যে ৪৮টি বিভাগেরই মাস্টার্স পর্যায়ে কোনো গবেষণা কাজ নেই। এমনকি শতবর্ষী স্বনামধন্য অনেক বিভাগেও এটি নেই। আমরা আরেকটি চিঠি পাঠালাম, গবেষণার কাজে কোন কোন বিভাগ আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছে। খুব যে সদুত্তর পেয়েছি তা নয়। সুতরাং পরিবর্তন যদি আনতে হয়, আমাদের নিজেদের সমালোচনা আমাদেরই করতে হবে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষক -শিক্ষার্থীর মেলবন্ধন তখন হয় যখন এনগেজমেন্ট বাড়ে। আমরা যদি ক্লাসে গিয়ে শুধু পড়াই, গবেষণায় শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করি, তাহলে জ্ঞান বিতরণে সেতুবন্ধন তৈরি হবে না। সেকারণে আমরা আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে শিক্ষক মূল্যায়ন চালু করব।
অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন জ্ঞানচর্চার এই ধারা অব্যাহত রাখেন। কারণ, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় টিকে থাকে। এই প্রক্রিয়ার সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সকলেই জড়িত। গবেষণার জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থীকে তিনি অভিনন্দন জানান।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে এবং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক খান প্রমুখ।