বহু অপকর্মের হোতা মো: কায়কোবাদ ও তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী ঢাকা, ই এম শাখা, জোন ৪/৫/৬এর দায়িত্বে। সদ্য চট্রগ্রাম জোন হইতে ঢাকাতে বদলী হয়ে এসেছে। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও আদালত কর্তৃক সম্পত্তি ক্রোককৃত গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও ক্যাশিয়ার হিসেবে খ্যাত কায়কোবাদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। বলা হয়ে থাকে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের নামে -বেনামে যত সম্পদ রয়েছে তা সবই তার জানা। গণপূর্তের একাধিক ঠিকাদার নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদের মাধ্যমেই আশরাফুল আলম সিংহভাগ অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন, আর এই সুযোগ টাকে কাজে লাগিয়ে চতুর কায়কোবাদ একটি অংশ অবৈধঅর্থ আত্নসাৎ করে দিয়েছে। যেহেতু অর্থ গুলো ছিলো অবৈধ তাই আশরাফুলের মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো: আশরাফুল আলম ও তার মিসেস সাবিনা আলমের বিরুদ্ধে ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা সমর্থিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো: নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে বিগত ২১ জুন ২০২৩ ইং তারিখে ১টি মামলা করেন। যেখানে বলা হয়েছে আগামী মো: আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকেীশলী হিসেবে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বিভিন্ন দুর্নীতি মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্ত্রী সাবিনা আলমের নামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অন্য দিকে দ্বিতীয় মামলায় মো: আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকের দাখিল কৃত সম্পদ গোপন ও ২৩ রাখ ৭৯ হাজার ৬৩ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্থের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২)২৭(১) ধারা দন্ডবিধির ১০৯ ধারা সহ ১৯০৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার অন্যতম সহযোগী তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর চট্রগ্রাম বদলী করা হয়। অতি চতুর কায়কোবাদ পুনরায় উর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে ঢাকার ই-এম-শাখার গুরুত্ব পূর্ণ জোন ৪/৫/৬ এ অতি বদলী হয়ে আসেন। তার মধ্যে একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ জোনে পুনরায় বদলী হয়ে আসলো না নিয়ে চলে আলোচনা ও সমোলোচনা। আর যাই হোক না কেন উধ্বর্তন কোন মহারথীর আর্শিবাদ না থাকলে ঢাকার গুরুত্বেপূর্ণ জোনে দায়িত্বে পাওয়ার কথা না। বদলী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এ নিয়ে যত না আলোচনা সমোলোচনা তার চেয়ে বড় কথা হলো আশরাফুল আলমের অন্যতম সহযোগিকে এখন ও দুদকের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি । যদি আনা হতো তাহলে আশরাফুল আলমের অজানা আরও অনেক রহস্য বেরিয়ে আসতো। কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে বলতে শোনা গেছে এবার প্রধান প্রকেীশলী শামীম আক্তারের আস্থা ভাজন হয়ে উঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কায়কোবাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশরাফুল প্রসঙ্গেঁ তুলতেই ফোনের লাইন কেটে দেন। কায়কোবাদের আমলনামা নিয়ে কাজ করছে। অতি শীঘ্রই বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।