আসন্ন দুর্গাপূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
ঢাকা প্রতিনিধি।।
তিনি বলেন, সামনের দুর্গাপূজায় আবারও সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছরও সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকতে হবে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতবার কিন্তু আপনাদের সহযোগিতায় দুর্গাপূজা খুব ভালোভাবে হয়েছে। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। গত বছরের মতো এ বছরও দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। এটার কতগুলো স্টেকহোল্ডার রয়েছে। এরমধ্যে জনগণ, তারা কতটুকু অংশগ্রহণ করবে, সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনটা কীভাবে করছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এবং প্রধান উপদেষ্টার যে আশা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কাজ এটা আমরা পুরোদমে করে যাবো। এরই মধ্যে আমরা মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করবো, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে, এটা যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। এরজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার, এই ব্যাপারে আপনাদের কোনো কার্পণ্য থাকবে না।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আপনারা জাতিকে দেখিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ একটা ফেয়ার নিয়োগ করতে পারে। সাংবাদিকরা অনেক সময় ছোটখাটো বিষয়ে অনেক কিছু বলে, এবার নিয়োগ সম্বন্ধে তারা কিন্তু কিছু বলতে পারে নাই। এখন বলার পরে তারা ছোটখাটো ভুল ধরবে কি না আমি জানি না। নিয়োগটা নিরপেক্ষ হয়েছে। আমি আইজিপি বা কারও কাছে নিয়োগের জন্য একটা নামও দেইনি। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও কেউ দেয়নি। এজন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছেন, যার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সব পারি নাই। যেহেতু পারি নাই, এজন্য বলছি নির্বাচনের আগে এটা আমি লটারির মাধ্যমে করে দেবো। যেটা আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, অন্তত একটা যেন আমি করতে পারি। এটাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা, বাধা আসবে। আমি কারও কোনো কথা শুনবো না। এটা আমি লটারির মাধ্যমেই হবে যদি আমি থাকি।
পরে লিখিত বক্তব্যে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় বরং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ বিলোপের গণতন্ত্রের ভিত্তি ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী, সুশৃঙ্খল, পেশাদার, প্রশিক্ষিত, সুসজ্জিত দেশ প্রেমিক পুলিশ বাহিনী সংযুক্ত হওয়ায় দৃঢ় প্রত্যয়।