নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক গ্রামেই ১০ স্পটে মাদক বিক্রি করছে। গ্রামটির নাম রামচন্দ্রদী। উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ড (৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড) পড়েছে এই গ্রামে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের মাদকসেবীরা দলবেধে আসছে এই গ্রামে। কিনছে পছন্দের মাদক। মোটরসাইকেল, সিএনজি এমনকি মাইক্রোবাস নিয়েও মাদকসেবীরা ছুটে আসছে স্পটগুলোতে। তারপর মাদক নিয়ে কড়ইতলা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে বসছে মাদকের আসর।
স্থানীয় লোকজন কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে ওরা মুখের উপর বলে দেয়, ‘আমরা পিকনিক করছি। একটু মজা করি।’ দু’একজন বেয়ারা টাইপের মাদকসেবী রেগেমেগে বলে যে, ‘মাদকের পিকনিক করি। টাকা থাকলে আপনেও করেন গা’। রাজনৈতিক ও স্থানীয়ভাবে মাদক বিক্রেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের প্রতিবাদী লোকজনও চুপছে গেছে। পুলিশের অভিযানে ভাটা পড়ায় এলাকাবাসীর মাঝেও বিরাজ করছে ক্ষোভ।
রামচন্দ্রদী গ্রামে। মোটরসাইকেল, সিএনজি এমনকি মাইক্রোবাস নিয়েও মাদকসেবীরা আসছে এখানে। তারপর মাদক নিয়ে কড়ইতলা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে বসছে মাদকের আসর। স্থানীয় লোকজন কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে ওরা মুখের উপর বলে দেয়, ‘আমরা পিকনিক করছি। একটু মজা করি।’ দু’একজন বেয়ারা টাইপের মাদকসেবী রেগেমেগে বলে যে, ‘মাদকের পিকনিক করি। টাকা থাকলে আপনেও করেন গা’।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রামচন্দ্রদী গ্রামটি বেশ বড় এবং দেখতেও সুন্দর। গ্রামটি কড়ইতলা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বর্ষায় ঘুরে বেড়াতে আসে অনেকে। এবারের ঈদুল ফিতরেই ঘটেছে যত বিপত্তি। গ্রামের মাদক বিক্রেতারা ১০টি স্পটে মাদকের স্পট চালু করেছে। এই খবর পেয়ে রূপগঞ্জ, নরসিংদী, মাধবদী, খৈরা, কলাগাছিয়া ও আড়াইহাজারের বিভিন্ন এলাকার মাদকসেবীরা দল বেধে আসতে শুরু করেছে রামচন্দ্রদী গ্রামে। রামচন্দ্রদী পুরনো বাসস্ট্যান্ড, দক্ষিণপাড়া ও উত্তরপাড়াসহ আশপাশ এলাকায় চিহ্নিত মাদক বিক্রেতারা মাদকের আসর বসিয়েছে। মাদকের স্পটগুলো চালাচ্ছে মাইল্লার ছেলে জামাল, মজিবরের ছেলে সত্তর মিয়া, মৃত ইব্রাহিমের স্ত্রী হাছিনা, মৃত বছু সিকদারের স্ত্রী খুদি বেগম , বছু শিকদারের ছেলে রুবেল, মঙ্গল মেম্বারের ছেলে মুজাফ্ফ্র, আলী হোসেন এর পুত্র আলআমীন, মোসলেম এর পুত্র জাহাঙ্গীর, ছাদু মিয়ার ছেলে হাবি, মৃত নুরু মিয়ার ছেলে সফি । গ্রামবাসী এ সকল চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের ঘাটাতে চায় না। মাদকসেবীরা গর্ব করে বলে বেড়ায়, ‘আমরা সব বেটাকে মাসোহারা দিয়েই রং-তামাশা করি। তাই ভয় কাকে ’? এই ১০ বিক্রিতাদের মধ্যে হাছিনা, রুবেল, খুদি বেগম ও মুজাফ্ফরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বাকীরা ধরা ছোয়ার বাইরে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।