ঈদযাত্রায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এবারের ঈদে সরকার একদিনের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি।
পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছেড়েছে অসংখ্য মানুষ। তবে ব্যস্ত নগরীর ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সেবাখাতে কর্মরতরা ছুটি পেয়েছেন বৃহস্পতিবারের কর্মদিবসের পর। তাই তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফিরতে চাওয়া এসব মানুষের মিছিল ছুটে চলছে নাড়ির টানে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রাজধানীর বাস ও লঞ্চ টার্মিনালমুখী সড়কে ঢল নেমেছিল এসব মানুষের। বিকেল ৪টার পর থেকেই তাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট নদীবন্দরগামী রাস্তাগুলোতে।
বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটমুখী সড়কে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় রাজধানীর ওই সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। তীব্র যানজটে আটকে থেকে নিরুপায় হয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটেই টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা করেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ কেউ ভ্যানে করেও রওনা হন।
মিরপুর-১ এর বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ হেঁটেই রওনা হয়েছেন সদরঘাট টার্মিনালের উদ্দেশে। গুলিস্তানের নবাবপুর রোডে তার সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব কাজ গুটিয়ে তিনি যাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে।
সাব্বির বলেন, কারখানার সবাইরে ছুটি দিয়া আইলাম। কাল বাড়ি যাইয়া রমজানের শেষ জুম্মা পড়মু। রাস্তায় জ্যাম তাই হাইটাই রওনা দিয়া দিছি।
সাব্বির আহমেদের মতো অনেককেই পায়ে হেঁটে বাস টার্মিনাল বা লঞ্চঘাট পর্যন্ত হেঁটে যেতে দেখা যায়। রাস্তায় যানজট থাকায় টিটিপাড়া মোড়ে বাস থেকে নেমে পরিবার নিয়ে হেঁটে সায়দাবাদের উদ্দেশে রওনা হন টিপু সরকার। তিনি বলেন, ছোট ভাই বাসের টিকিট কেটে বসে আছে ২০ মিনিট পরই বাস ছেড়ে দেবে। এখান থেকে সায়দাবাদ হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগবে। আর বাসে গেলে লাগবে আরও অনেক বেশি সময়। তাই হেঁটেই রওনা হচ্ছি।